আন্তার্জাতিক সামাজিক সংগঠন “বাংলার মন”-এর উদ্যোগে ভারত সরকারের কালচারাল মিনিস্ট্রির ( সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মন্ত্রণালয়) অংশীদারত্বে কলকাতার ইষ্টার্ণ জোনাল কালচারাল সেন্টার EZCC – তে তিনদিন ব্যাপী ১৭ – ১৯ মার্চ ‘২০২৩ পর্যন্ত জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে “আমার দূর্গা” ব্যানারে ২০২২ সালের কার্যক্রমের বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গুণীজন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করলো।
এ আয়োজনে সহযোগী অংশীদারত্বে Indo Bangla Friendship Association, IBFA সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিডিয়া পার্টনার এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতায় যুক্ত থাকে।
আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানীয় এ আয়োজনে অংশগ্রহণে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হন শ্রীমতী শ্রাবণী সূর বিশেষতঃ তার সামাজিক ও মানবিক নেতৃত্বে সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা এবং শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় অবদানের জন্যে।
মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক শ্রাবণী সূর পেশাগত জীবনে যশোর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত।
তন্মধ্যে,সহ সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী কমিটি, Indo Bangladesh Friendship Association ( IBFA), সভাপতি, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ,যশোর জেলা শাখা। সভাপতি, বাংলাদেশ আবৃত্তি শিল্পী সংস্হা, যশোর জেলা শাখা।
সভাপতি,বাচিক শিল্পী সংঘ, যশোর জেলা। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, যশোর পূজা উদযাপন পরিষদ, যশোর জেলা সহ বিভিন্ন রনারীবাদী , মানবিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন।
বাংলার মনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দীপ্তিমান বসু এবং গুণী কবি, আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ শ্রাবণী সূরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন এবং এ মহীয়সীকে যথাযথ ভাবে সম্মানিত করেন সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও বাংলার মনের সাংগঠনিক লোগো সংবলিত পরিধেয় রেপ্লিকা হস্তান্তরের মাধ্যমে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে ২০২২ সালের বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিবেচনায় “আমার দূর্গা” নামে সার্বজনীন দুর্গাপূজা উৎসবকে বিবেচনা করা হয়।
এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও দূর্গাপুজোর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ্য বিষয়াদিকে লক্ষ্য রেখে ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পালিত দূর্গা পূজোর মধ্য বাছাইকৃতদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। তন্মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যশোর জেলাসহ আরও তিনটি জেলায় কিছু মন্ডপকে পুরষ্কৃত হবার জন্যে বিবেচিত হয়।
দূর্গা পুজার ঐতিহ্য, সজ্জা ও সার্বিক বিবেচনায় যশোর জেলা থেকে অংশীদারেত্বে কলকাতার ইষ্টার্ণ জোনাল কালচারাল যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত দূর্গা পূজার ঐতিহ্য, সজ্জা ও সার্বিক বিবেচনায় ১. হরিসভা মন্দির লালদীঘি পাড়, যশোর, ২ শহিদ সুধীর ঘোষ পূজা মন্দির ৩.বাঘারপাড়ার নারকেল বাড়িয়ার কুন্ডুপাড়া শহিদ মন্দির অনান্য মন্দিরের সাথে পুরস্কৃত হলো। যশোরের ১ এবং ৩ নং মন্দিরের পুরষ্কার গ্রহণ করেন শ্রাবণী সূর এবং বাকী পুরষ্কার শহীদ সুধীর ঘোষের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে অপর্ণা ঘোষ।
লক্ষ্যণীয় আনুষ্ঠানিক পুরষ্কার সম্মাননা গরহণের পর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রবনী সূর মন জয় করে সকলের।
দিনটি ১৭ মার্চ হওয়ায় এবং বাংলাদেশের জাতির পিতার জন্মদিন হেতু তিনি তার বক্তব্যে বাঙ্গালী জাতির পিতা ও অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে স্মরণ করে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ায় তিনি তার বক্তব্যের মাঝে বারবার স্মরন করছিলেন কৃতজ্ঞ চিত্তে। শ্রাবণী সূর বক্তব্যের মাঝে একপর্যায়ে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমি এখানে পুরস্কার নিতে আসতে পারতাম না, বঙ্গবন্ধু’র ৭ ই মার্চের ভাষণের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে তিনি করেছেন সমুজ্জ্বল।
স্বাধীনতার জন্য ২ কোটি জনগণকে আশ্রয় দেয়া ও সহযোগিতার জন্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনি শ্রদ্ধান্তে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারতবাসীর প্রতি। দুই দেশের মধ্যে তিনি সত্যিকার অর্থের সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির বন্ধনের উন্নয়নের আহ্বান জানান।
তিনি ধন্যবাদ জানান আয়োজক কমিটিকে। অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি ড. সুকান্ত মজুমদার, পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত কাজী মাশুম আকতার সহ স্হানীয় বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের গুণী ব্যক্তিত্ব,কবি, সাহিত্যিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও চলচ্চিত্র অভিনেতাদে উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে করেছে মহিমান্বিত।