বই-ই হচ্ছে মানুষের সুখ, দুঃখের শ্রেষ্ঠ সঙ্গী ও সর্বোত্তম বন্ধু। যার সাথে জগতের অন্য কোনো বস্তুুর তুলনা হয় না। মনের এবং জ্ঞানের আলোর জন্য প্রতিটি মানুষের বই পড়া একান্ত জরুরি। বই পড়ে একজন মানুষ যে আনন্দ লাভ করে তা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এই বই পড়ার আনন্দ মনকে সতেজ রাখে, মনুষ্যত্ববোধকে জাগ্রত করে, অন্য কোনো কাজ বা কোনো কিছু করতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
পৃথিবীর সকল ধরনের জ্ঞানের উৎস ও সমৃদ্ধির ভান্ডার রয়েছে একমাত্র বইয়ের মধ্যে। জীবনকে সঠিক ভাবে জানার জন্য, জ্ঞানের ও শিক্ষার আলোকে বৃদ্ধি করার জন্য, নিজেকে জানার জন্য বই পড়া খুবই প্রয়োজন। সেজন্য আমাদের সব ধরনের বই পড়া একান্ত জরুরি।
কেউ কাউকে শিক্ষা দিতে পারে না। শিক্ষা নিজেকেই অর্জন করতে হয়। নিজেকে জানার জন্য, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য, জ্ঞানের পরিধি জানার জন্য, চিন্তাশক্তির জাগরণের জন্য ও মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গঠন করতে হবে।
আপনার কাজের ফাঁকে, হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত বই পড়ার জন্য আপনি নির্দিষ্ট একটা সময় বেছে নিতে পারেন। সেই সময়টা হতে পারে অবসর সময়।
অবসর সময়গুলোতে আপনি বই পড়ুন, দেখবেন আপনার জীবনের যে দুঃখ-কষ্ট, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি সকল ধরনের সমস্যা নিরাময়ের ঔষধ হিসেবে ভালো বই কাজ করবে। বইয়ের প্রতিটি পাতায় রয়েছে মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখের কাহিনি, যেগুলো পাঠের মাধ্যমে আপনি জীবন সম্পর্কে খুব সহজেই একটা সামগ্রিক ধারণা পেয়ে যাবেন। জীবনে সঠিক পথে চলার জন্য ভালো বই পড়া অতীবও জরুরি।
আপনার জীবনের দুঃখ-কষ্টগুলোকে ভুলে থাকার জন্য বই পড়ার মাধ্যমে আপনার মধ্যে হতাশা, দুশ্চিন্তা, মানসিক সমস্যা তথা ডিপ্রেশনের মতো বাজে চিন্তাগুলো থেকে দূরে থাকবেন, আর, মাথায়ও আসবে না, মানসিক চাপ কমানোর জন্য ভালো ঔষধ হিসেবে বইয়ের প্রতিটি পাতা আপনার জীবনে প্রভাব ফেলবে।
নিয়মিত বই পড়লে আপনি আপনার ভেতরের চিন্তাশক্তির জাগরণ ঘটাতে সম্ভব হবেন। বই পড়লে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে, তাই নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
নিয়মিত বই পড়লে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। কেননা, যখন আমরা কোনো গল্প বা উপন্যাসের চরিত্র, চরিত্রের ধরণ, কাহিনি, উদ্দেশ্য, ইতিহাসসহ বিভিন্ন জিনিস আমাদেরকে মনে রাখতে হয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে আজীবন স্মৃতিতে ধারণ করে রাখে, আর, এভাবেই মস্তিষ্কের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
আপনি যত বেশি বই পড়বেন, তত বেশি শব্দভান্ডার ও লেখার দক্ষতা তথা সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে আপনার মধ্যে। সেজন্য আপনাকে নিয়মিত বই পাঠ করতে হবে।
মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হচ্ছে বই। একটা বই শুধু জ্ঞানের পরিধি-ই বাড়ায় না। একটা বই আমাদের সকল তথ্য-ই দেয় না, প্রশ্ন দিয়ে যায়, আমাদেরকে নতুনরূপে চিন্তা-ভাবনা করতে শেখায়। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য যেমন ব্যায়াম করা জরুরি। ঠিক তেমনি, মনের বিকাশ ও জীবনের জন্য বই পড়া অতীবও জরুরি। তাই আমি মনে করি,
“বই পড়ুন মনের ও জ্ঞানের আলোর জন্য,
বই পড়ুন জীবনের জন্য।”