নেতৃত্ব হারিয়ে বেসামাল আসাদ, তৃণমূলে ক্ষোভ

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অন্ধেরজষ্ঠী (একমাত্র অবলম্বন)সম্পাদক পদ হারিয়ে অনেকটা বেসামাল হয়ে পড়েছে বলে গুঞ্জন বইছে। তিনি কি করতে পারবেন, আর পারবেন না তার সেই হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে বলে মণে করছে তৃণমুল। কারণ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর আসাদুজ্জামান আসাদ ছিলেন ওই কমিটির সম্পাদক। ফলে ফারুক চৌধুরীকে নেতা ও তার নেতৃত্ব মেনেই আসাদ দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন।

অথচ সম্পাদকের পদ হারিয়ে আসাদ বেসামাল হয়ে কোনো তথ্য উপাত্ত্য ছাড়াই এমপি ফারুক চৌধুরীকে রাজাকার পুত্র বলে কটুক্তি করেছে। এখন প্রশ্ন হলো ফারুক চৌধুরী যদি এতোই খারাপ তাহলে সম্পাদক হিসেবে তিনি তখন সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব, নীতিনির্ধারক মহলে নালিশ বা প্রতিবাদ করে নিজে পদত্যাগ করেননি কেনো ? অথচ এমপি ফারুক চৌধুরী নিজেই আসাদের মতো বিতর্কিতকে নিয়ে এক সঙ্গে রাজনীতি করতে পারবেন না বলে সেচ্ছায় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই সুযোগে আসাদ সভাপতি প্রার্থী হতে চাই। কিন্ত্ত কেন্দ্র তা আমলে না নিয়ে উল্টো আসাদকে সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেয়।

তিনি সম্পাদক পদ হারানোর জন্য ফারুক চৌধুরীকে দায়ী করে তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রোপাগান্ডা শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এমপির বিরুদ্ধে এখানো তার এসব প্রোপাগান্ডা চলমান রয়েছে বলে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। আওয়ামী লীগের নেতা দাবী করে আওয়ামী লীগ দলীয় কোনো সাংসদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া যায় কি না সেটি একটি বড় প্রশ্ন, কারণ দলীয় সাংসদ কোনো অনিয়ম করলে দলের নীতিনির্ধারক মহলে তার বিরুদ্ধে নালিশ করা যেতেই পারে। কিন্ত্ত সুনিদ্রিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ব্যতিত দলীয় সাংসদের ভাবমুর্তিক্ষুন্ন হয় প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দেয়া যায় না। কারণ দলীয় সাংসদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দল, নেতা ও নেতৃত্বের ভাবমুর্তি, যদি সেটা হয় তাহলে আসাদ কার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করছেন এই প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।

বিজ্ঞাপন

আসাদের করা অভিযোগ এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে মানায় না এটা পুরোটা হাস্যকর। বরং আসাদুজ্জামান আসাদ প্রায় শূণ্য থেকে কিভাবে এতো বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন সেটা অনুসন্ধানের দাবি রাখে বলে মনে করছেন সুধি মহল।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত ফারুক চৌধুরী একমাত্র নেতৃত্ব। যাকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রটৌকল ভেঙ্গে একক ক্ষমতা বলে ফারুক চৌধুরীকে আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়ে সাধারণ নির্বাচনে ৫ বার নৌকার টিকেট দিয়েছেন। আসাদেরা রাজনীতি করে যেখানে পৌঁছাতে চাই, সেখান থেকে নেমে ফারুক চৌধুরীর রাজনীতি শুরু। একজন নেতার প্রতি দলীয় প্রধানের কতটা বিশ্বাস-আস্থা থাকলে এমনটা করেন তার প্রমাণ ফারুক চৌধুরী এমপি।

তিনি ২০০১-২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনবার বিজয়ী এবং একবার প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত (তানোর-গোদাগাড়ী) ও আঁতুড়ঘর তছনছ করে আওয়ামী লীগের বসত ঘরে পরিণত করেছেন। নৌকা তাঁর নিজের নির্বাচনী প্রতীক, অথচ তিনিই নাকি নৌকায় ভোট দেন না আসাদের দাবি। তাহলে তার এই কথার মানে দাঁড়ায় দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁর চেয়ে রাজনৈতিক দূরদর্শীতা আসাদেরই
বেশি ! ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগদানের পুর্বে ও পরে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা বিশ্লেষণ করলেই, পরিস্কার হবে দলে কার অবদান বেশী।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহীর বাবলা বনে ফারুক চৌধুরীর বাবা ও চাচাসহ নাম না জানা অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল পাক বাহিনী। এর পর থেকে প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর ঐতিহাসিক বাবলা বন গণহত্যা দিবস উদযাপন করা হয়ে আসছে। প্রতি বছর এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ২৫ নভেম্বর বাবলা বন গণহত্যা দিবস উদযাপন করে আসছে। এদিবসটি দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। অথচ এসব শহীদদের নিয়েও আসাদ কটুক্তি করেছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আসাদুজ্জামান আসাদের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আসাদুজ্জামান আসাদের মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্যর তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, জীবনে যিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি তিনি কত বড় নেতা সেটা জনগন জানেন।

তিনি বলেন, কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বাবলা বন গণহত্যায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করতে পারেন না। এবিষয়ে তরুণ নেতা আলহাজ্ব আবুল বাসার সুজন বলেন, তারা রাজশাহী শহরের বাসিন্দা, শিশুকাল থেকে জেনে আসছেন এমপি ফারুক চৌধুরীর বাবা ও চাচা শহীদ হয়েছেন।

বাবলা বন পদ্মার চরে গণকবরে তাদের সমাহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাবলা বন ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, বাবলা বন গণকবরে সায়িতদের নিয়ে যারা কটুক্তি করে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ দীর্ঘ তাপপ্রবাহে রেকর্ড, কতদিন থাকবে জানাল অধিদপ্তর বৃষ্টি চেয়ে রানীশংকৈলে ‘ইসতিসকার’ নামাজে মুসল্লিদের বিশেষ দোয়া গাজীপুরে তাপদাহে ঝরছে লিচুর গুটি, দিশেহারা চাষিরা আপনারা শুধু ভোটার, আপনাদের কথা বলার অধিকার নেই: উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী চার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রজ্ঞাপন ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বৃষ্টির জন্য সালাতুল ‘ইসতিসকার’ নামাজ ও বি‌শেষ দোয়া বাণিজ্যিকভাবে আঠাবিহীন বারোমাসি কাঁঠাল চাষে ভাগ্য খুলেছে সবুজের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বৃত্তে আটকা ভোলার জনজীবন! একদিনের ব্যবধানে আবারও কমলো সোনার দাম মোবাইলে ডাটার মেয়াদ চায় না ৯৮ শতাংশ মানুষ এফডিসিতে মারামারি, বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত গাজীপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিকার নামাজ আদায় লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে তিন শিশুর মৃত্যু বাগেরহাটে দোকান ঘর ভেঙ্গে খাদে পরিবহন, নিহত ১ নবীনগরে চলে না ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন! উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী ড্রামের ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি