শিক্ষা হবে সবার ও মানবিক

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

শিক্ষা আমার অধিকার , এই অধিকার সবার চাই। শিক্ষা কোন পণ্য নয় শিক্ষা মৌলিক অধিকার। শিক্ষা সর্বজনীন। শিক্ষাকে কৌশলে বেঁধে রাখা অমানবিক, অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক। শিক্ষায় যে জাতির যত বেশি বিনেয়োগ সে জাতি ততো বেশি উন্নত। তারা, বিজ্ঞান, আধুনিক, সভ্যতা, মানবিকতা, মূল্যবোধের ততো শিখরে অবস্থান করে। তারা জ্ঞানের অন্বেষনে তৃপ্তি লাভ করে। শিক্ষা জ্ঞানচক্ষু খোলে দেয়। প্রকৃতির বাইরের আকার-আকৃতি, শোভা-সৌন্দর্য যারা দেখতে পায় না তারা দৃষ্টিহীন। যারা প্রকৃতির অন্তনির্হিত নিয়ম-নীতি, সম্পর্ক-সম্বন্ধের গতি-প্রকৃতি দেখতে পায় না কিংবা অনুধাবন করতে পারে না তারা অধিক দৃষ্টিহীন। অর্থাৎ চোখ থাকতেও অন্ধ। চোখের অন্ধত্বকে অতিক্রম করে আজকের মানুষ শিক্ষায়, কর্মে বাঁচতে পারে যদি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক পরিচর্যা পায়। কিন্তু অজ্ঞানতার অন্ধত্ব নিয়ে এ যুগে প্রাণি মানুষ বাঁচলেও স্বাধীন মানুষ, মুক্ত মানুষ হিসেবে বাঁচা চলে না। শিক্ষা মানুষকে মুক্তি দেয় কুসংস্কার,অন্ধ অনুকরণ, অনৈতিক, অমানবিকতা, অন্যায় চিন্তা থেকে। শিক্ষা শারীরিক, মানসিক,আত্মিক বিকাশ সাধনের পাশাপশি আর্থিক উন্নয়ন ও উন্নতি এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে।

কমনওয়েলথের সুপারিশ অনুযায়ী দেশের জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের কথা থাকলেও কোনো সরকারই তা আমলে নেয় না। শাসক শ্রেণ্রির উদাসীনতার কারণে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষানীতি অপরিপক্ষতার চাঁদরে মোড়ানো। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার সাথে সম্পর্কযুক্ত একটা শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা কারিকুলাম এখনো আমরা পাইনি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও প্রাইভেট কোচিং আছে, তবে এ খাতে বাংলাদেশের অভিভাবকদের ব্যয় করতে হয় সবচেয়ে বেশি। এ হার এখানে ৬৭ শতাংশ। আর গ্রামীণ এলাকায় ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে হয়। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট-২০২২’ প্রকাশিত হয়েছে গত ৩ জানুয়ারি ২০২৩।

ইউনেস্কো বলছে, করোনা মহামারীর পর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় শিক্ষার ব্যয় বেড়েছে, ফলে অনেক পরিবার সন্তানের শিক্ষার খরচ জোগাতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। প্রাইভেট টিউশন, শিক্ষা উপকরণসহ শিক্ষা-সংক্রান্ত খরচগুলো সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য একই। ফলে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতিতে এটি অনেক পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে শিক্ষা খাতে বেসরকারি খাতের আধিপত্য বেশি থাকাকে পরিবারভিত্তিক শিক্ষাব্যয় বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে বেসরকারি খাতের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল বাংলাদেশ। শিক্ষা ক্ষেত্রে একধরনের অরাজকতা, হ-য-ব-র-ল অবস্থা দৃশ্যমান। এখানে শিক্ষার মধ্য দিয়ে দায়বদ্ধতার পরিবর্তে আত্মকেন্দ্রিতাকতাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। এখানে মেধাবীদের তেমন একটা মূল্যায়ন করা হয়নি যেমনি ঠিক, তেমনি মেধাবীরাও দেশপ্রেমে উবুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কিছু করার ভাবনা থেকেও দূরে সরে গেছেন শুধুমাত্র নিজের কথা ভেবে।

বিজ্ঞাপন

আবার এর বিপরীত চিত্রও আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্যাকুলার, বিজ্ঞানভিত্তিক, উন্নত চিন্তার মাতৃভাষা ভিত্তিক একই ধারার শিক্ষার কথা থাকলেও বাস্তবে চলছে বহু ধারার শিক্ষা। ফলে মানুষের মধ্যে জাতীয় কোন বিষয়ে ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তি তৈরি হচ্ছে।মানুষে মানুষে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। শিক্ষা উপকরণের মূল্য আজ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দ্বিতীয়ত, ‘টাকা যার, শিক্ষা তার’। শিক্ষা কোনো প্রসাধনসামগ্রী নয় যে, যার টাকা আছে সে-ই শুধু শিক্ষা কিনে বিলাসিতা করবে। শিক্ষা-বাণিজ্য একসঙ্গে চলে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সন্ধ্যাকালীন কোর্স চালু করা যাবে না। যারা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সাধারণ মানুষ আজ তাদের সন্তানদের খেলাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে। কিছু মানুষের হীন স্বার্থের কারণে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকরা অপমানিত হয়েছেন।

ছাত্র –শিক্ষকের সর্ম্পক অনেক অবনতি হয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই খেলার মাঠ, নেই খেলাধুলার সরঞ্জাম, খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোকারিকুলাম শিক্ষা উপেক্ষিত। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে চরমভাবে। শিক্ষার এ অরাজকতা, হ-য-ব-র-ল অবস্থার নেতিবাচক প্রভাব সমাজের সকল ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। প্রকৃত মানুষ গড়ার শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ধুলোয় লুন্ঠিত। প্রশ্নপত্র ফাঁস, পাঠ্যপুস্তকে একদলকে খুশি রাখার আয়োজন ইত্যাদি। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্রসমাজকে আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও যান্ত্রিক করে তুলেছে। জীবনের ধারণা তাদের কাছে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ধরা দিয়েছে। শিক্ষার সার্বিক প্রসার এবং মানবিক গুণ বিকাশের গুরুদায়িত্ব শিক্ষকদের ওপর ন্যস্ত। শিক্ষার উন্নয়ন ও দেশের উন্নতি একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল। ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কের অনেক অবনতি ঘটেছে। ছাত্ররা এখন আর শিক্ষকদের আগের মতো শ্রদ্ধা করে না। এক ধরনের সামাজিক অবক্ষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। অভিভাবক সন্তানদের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রদের ভালো ফলাফলের জন্য যতটা চিন্তাশীল ঠিক ততোটাই উদাসীন অভিভাবক তার সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। শ্রদ্ধাবোধ, স্নেহ-ভালোবাসা ফিকে হয়ে গেছে। শিক্ষা আজ বাণিজ্যিকিকরণে রূপ নিয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি, প্রাইভেট স্কুল- কলেজের সংখ্যা বেশি। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এখন সময়ের দাবী। সময়ের দাবীকে উপেক্ষা করা মানে হলো সময়ের চাহিদার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা। আর এই বিশ্বাসঘাতকতার কুফল দীর্ঘ মেয়াদী হয়। আর তাই শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট।

শিক্ষার এই অব্যবস্থাপনা থেকে সরে আসতে না পারলে শিক্ষা জাতীয় উন্নয়ন, উন্নতি এবং অগ্রগতিতে বন্ধ্যাত্ব্ তৈরি করবে। জাতির মধ্যে বিভেদ তৈরি হবে, সংঘাত বাড়বে, সংঘর্ষ বাড়বে, মানবিক মর্যাদা লোপ পাবে, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি প্রভৃতি লোপ পাবে। শিক্ষা হতে হবে সবার জন্য এবং মানবিক। যেই শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে, মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটবে, অন্ধ অনুকরণের পরিবর্তে যুক্তি নির্ভর ও বস্তুনিষ্ট চিন্তার বিকাশ ও প্রসার ঘটবে। যার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ব্যক্তি মুনাফার চরম আকাঙ্খার এবংব্যক্তি স্বার্থের পরিবর্তে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে, মানুষ মানিবক হবে , মানবিক মর্যাদা সম্পন্ন হবে। শিশুরা এবং আমাদের আগামী প্রজন্মকে মানবিক চেতনায় গড়ে তুলতে হবে বস্তুনিষ্ট শিক্ষার মাধ্যমে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্য দিয়ে। শিক্ষার মূল মাধ্যম হবে মাতৃভাষা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চাহিদার উন্নতিতে বিপরীতে একই পদ্ধতির বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটাতে না পারলে শিক্ষার মানবিক দিকটি চরমভাবে উপেক্ষেতি হবে। এবং এর ক্ষতিকর মাসুল দিতে হবে দেশের শ্রমজীবি, মেহনতি সাধারণ মানুষকে।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার গুণগত পরির্বতন আনতে হবে মেধাবীদেরকে শিক্ষকতায় পেশায় আকৃষ্ট করতে হবে। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষায় মাতৃভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। মন্ত্রী, এমপি এবং আমলাদের সন্তানদেরকে দেশে পড়াশোনা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চ শিক্ষায় আরো বেশি গবেষণার আয়োজন রাখতে হবে। শিক্ষাকে আধুনিক এবং যোগপোযোগি করে গড়ে তোলার পাশাপাশি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনসহ আমাদের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের ইতিহাসের ব্যাপক আয়োজন রাখতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থায় যার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা দায়বোধ অর্জন করতে পারে এবং নিজেদেরকে সামাজিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

দেশপ্রেম সমৃদ্ধ কারিকুলাম এবং পাঠ্যক্রম চালু করতে হবে। খেলাধুলার আয়োজন ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে,থাকতে হবে সহ-পাঠ্যক্রমকে মূল কারিকুলামের সাথে অন্তরভুক্ত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলার মাঠ ছাড়া নতুন করে কোন বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমোদন দেওয়া দেওয়া যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত তদারকির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে এবং সেই সাথে শিক্ষার সাথে জড়িত সকলকে জবাবদিহি নিশ্চিৎ করার আওতায় নিয়ে আসতে হবে । পুরষ্কার, তিরষ্কার এবং কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থাও রাখা যেতে পারে। দেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে আমাদের এইটুকু প্রত্যাশা শিক্ষা হউক সবার এবং মানবিক। আমারা আশা করি রাষ্ট্র দেশের জনগণের স্বার্থে, উন্নয়ের স্বার্থে, উন্নতির স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে জাতিকে আলোর পথ দেখাবেন।

 

সুধীর বরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চাঁদপুর।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ দীর্ঘ তাপপ্রবাহে রেকর্ড, কতদিন থাকবে জানাল অধিদপ্তর বৃষ্টি চেয়ে রানীশংকৈলে ‘ইসতিসকার’ নামাজে মুসল্লিদের বিশেষ দোয়া গাজীপুরে তাপদাহে ঝরছে লিচুর গুটি, দিশেহারা চাষিরা আপনারা শুধু ভোটার, আপনাদের কথা বলার অধিকার নেই: উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী চার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রজ্ঞাপন ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বৃষ্টির জন্য সালাতুল ‘ইসতিসকার’ নামাজ ও বি‌শেষ দোয়া বাণিজ্যিকভাবে আঠাবিহীন বারোমাসি কাঁঠাল চাষে ভাগ্য খুলেছে সবুজের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বৃত্তে আটকা ভোলার জনজীবন! একদিনের ব্যবধানে আবারও কমলো সোনার দাম মোবাইলে ডাটার মেয়াদ চায় না ৯৮ শতাংশ মানুষ এফডিসিতে মারামারি, বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত গাজীপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিকার নামাজ আদায় লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে তিন শিশুর মৃত্যু বাগেরহাটে দোকান ঘর ভেঙ্গে খাদে পরিবহন, নিহত ১ নবীনগরে চলে না ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন! উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী ড্রামের ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি