মোবাইল ফোন

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

১ম পর্বের পর থেকে,,,

 

যাইহোক আমার ফোনের ,অই পাশ দিয়ে মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসেছ। আমি কিছুটা হতবাক হয়ে কথা শুনছি। সে আমকে বলল আমি সুমি। আমি কিছুটা স্বপ্নের ঘোরে চলে গেলাম স্মৃতি রোমন্থন ভেসে উঠছে সেই মেয়েটি! আমি কখনোই বিশ্বাস করতে পারছি না।

বিজ্ঞাপন

সে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমি ভালো আছি কিনা? বললাম ভালো তার পর অনেক কথা হলো। সে আমাকে জানালো সে ঢাকায় চলে গেছে,আর ঐখানের একটা স্কুলে ভর্তি হয়েছে।তবে আমি তার মুখটি মোনে করতে গিয়েও পারছিনা। কারণ তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল আচমকা বহু দিবস পূর্বে। এর ই মাঝে ফোন কেটে গেল।পরে চেষ্টা চালানো হয়েছিল তবে সংযোগ ঘটাতে পারিনি।দু একদিন পরে আবার ফোন এলো সেই আগের নম্বর থেকে, ফোন কেটে দিয়ে ফোন ব্যাক করলাম,সে আমাকে বলে জানেন আমি না জীবনেও এতো বেশি কথা কোনো ছেলের সাথে বলিনি।
আমি বললাম এটা আমাকে বলছেন কেন?

সুমি বললো না,এমনিতেই। এরপর অনেক কথা হলো, হঠাৎ করে সে
বললো আচ্ছা ঐদিন আপনি কি কিছু বলতে চাইছিলেন? আমি উত্তরে বললাম কোন দিন? ঐ যে আমাকে বই দেয়ার দিন। আমি তার রহস্য জনক প্রশ্নের উত্তর দেই না তো। খানিকক্ষণ চুপ থাকার পরে
সে বললো আচ্ছা আমি যদি বলি আমি আপনাকে ভালোবাসি। আচকা এই ধরনের মন্তব্য শুনে
আমি বললাম বলছ এসব?

সে উত্তরে কিছুটা রাগান্বিত স্বরে কেন আমি দেখতে কি খারাপ? আমার কি কোন মোন নেই? আমি একটু থেমে জবাবে না সবই ঠিক আছে, তবুও আমি তো খারাপ ছেলেও হতে পারি। আমাকে কতটা চেনো তুমি? আপনি যেমনি থাকেন না কেন কোনো আমার কোনো সমস্যা নেই। আপনি অনেক ভালো মনের মানুষ।

বিজ্ঞাপন

কিভাবে বুঝলেন? লেখকরা কখনো খারাপ হ’য়ে জন্মায় না। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে জানলেন?
আমি আপনার বইয়ের ভাজে ছোট ছোট সৃষ্টি গুলো পড়েছি। আমি অতো সোতো বুঝি না। আমি আপনাকে ভালোবাসি।

এই কথা শোনার পর আমি যেন একটা হাইভোলটেসের শর্ক খেলাম। যাই হোক একপ্রকার হুমকির মুখে অপ্রত্যাশিত ভাবে রাজি হয়ে গেলাম। তখনকার সময়ে ফেসবুক অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ছিলো না। বোঝেনি তো আমি স্টুডেন্ট মানুষ তাই বাসা থেকে হা যা হাত খরচ পেতাম তা প্রায় সবই ফোনের পিছনে ব্যায় করতাম তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে এমন একটা অদ্ভুত মায়ার সৃষ্টি হলো সারাদিন ওকে নিয়ে যত ভাবনা, কল্পনার ঘোর কুয়াশায় শিশিরের মতো বিন্দু বিন্দু করে স্বপ্নের সঞ্চার । এই স্বপ্নের ঘোরে মিথ্যে কথার শহরে তার আমার লল নিল সংসার।

প্রতিদিন সুমির ফোনের অপেক্ষায় তীর্থের চতকের ন্যায় বসে থাকা প্রতিটি ফোন কলের ক্রিং ক্রিং শব্দে তার প্রতিক্ষায় উদ্যাম বেগে ছুটে আসা। এ যেনো অস্পর্শী-বিমূর্ত মায়াজালে আবদ্ধ হওয়া।

অনেকবার এমন কজ করর জন্য আম্মাজনের কাছে বকা খেয়েছি। তবুও তার একটি মুখের একটি শব্দ শোনার জন্য ছুটে চলেছি বহুদিন।

প্রায় প্রতিনয়তো একটু আধটু কথা হতো তার সাথে। দিনে দিনে সে আমার শক্ত মেদের প্রাচির ভেঙে তার নিজের জন্য একটা জায়গা করে নিয়েছে। তাকে স্থান দিয়েছিলাম হৃদয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ স্পন্দন নামে। আর একটি হৃদয় স্পন্দন ছাড়া অচল পয়সার মতো। এভাবে দিন গড়িয়ে মাস বছর। হঠাৎ করে একটা সুখবর বয়ে আনলো আমার রেজাল্ট আউট হলো মাধ্যমিক পরীক্ষার।

সুমিঃ আপনার result কি?? আমিঃ ভাল
সুমিঃ জানেন আমি আমার সব বন্ধুদের সাথে আপনার কথা বলছিলাম ওরা আমাকে বলে ছেলেটি তো ঢাকার বাইরে থাকে,
তুমি আমার জন্য ঢাকায় আসতে পারবা না??
আমিঃ না হয়তো বেচে থাকলে দেখা হবে।
আমি তোমার অপেক্ষায় থাকব,,,
,,এভাবেই আমাদের মিষ্টি সম্পর্ক টা চলছিল।
হঠাৎ করে আমার মোবাইল ফোন টা খারাপ হয়ে যায়।

বোঝেনই তো আমি স্টুডেন্ট মানুষ মোবাইল ফোন টা আর সাড়াতে পারলাম না। আার হৃদয় গগনে কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিলো। তার সঙ্গে আর কোনোদিন যে দেখা হবে তার আশা ছেড়ে দিয়েছি।
অনেক কেঁদেছি, যেই শহরে আমার প্রবেশল নিষিদ্ধ ছিলো। সেই শহরের মানচিত্রে আমার ফিরে এসেছি। এখানে এসেছি একটা কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য।

পড়াশোনা জন্য,, নতুন মোবাইল ফোন কিনলাম ওই নম্বরে ফোন দিলাম কিন্তু বন্ধ ছিল নাম্বার টা। তারপর অনেক খুঁজেছি। কিন্তু ইট পথূরে শহরে তাকে খুঁজে পাওয়াটা দুষ্কর।

কিন্তু না,,, আচমকা একটা নতুন নম্বরে ফোন এলো, ঐপাশ থেকে একটা পরিচিত কন্ঠস্বর কেমন আছ? আমি কিছুটা নিস্তব্ধ হয়েন কেঁদে উঠে তুমি! সে আমাকে বলে উঠল তুমি কাঁদছ কেনো? ছেলেরা কি কখোনো কাঁদে?
কই না তো,সে আমাকে বলে চলো একদিন দেখা করি,, আমি সুমির কথায় রাজি হয়ে গেলাম।

তার পর এক দিন গুরতে বেরুলাম, একটা হুড খোলা রিকসায় উড়ে বেড়িয়েছি শহরের বুকে। মনে হচ্ছিলো হয়তো মেঘের চাদরে বিলুপ্ত হয়ে থাকা সূর্যটি উঁকি দিচ্ছে জীবন পথের অলিগলি রাজপথে। তার পর একদিন তুমি কি জানো আমার বিয়ে হয়ে গেছে?

আমি মনে মনে ভাবতেছিলাম “কল্পনায় সে মুকুট বিহীন রাজা, বাস্তবতার ভিড়ে সে পাগল নামে সর্বস্বহারা।”
নিঃশ্বাস ফেলে তাকে কংগ্রাচুলেট করে ফোনটা,কেটে দিলামন আমি তাকে দোষ দিলাম না এটা আমাই ভুল ছিলযাই হোক এভাবেই মোবাইল ফোনের যাত্রা শেষ হলো।

জীবন পথে একটি নতুন জিনিস শিখেছি “যত্ন না নিলে প্রিয় বৃক্ষটি ও পরগাছা হয়ে যায়। পরিস্থিতি মানুষকে বাধ্য করে কঠিন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে, কিছু গল্পের চরিত্র অসমাপ্ত হ’য়ে আত্মার আত্ম চিতকার কেউ শুনতে পায় না।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ দীর্ঘ তাপপ্রবাহে রেকর্ড, কতদিন থাকবে জানাল অধিদপ্তর বৃষ্টি চেয়ে রানীশংকৈলে ‘ইসতিসকার’ নামাজে মুসল্লিদের বিশেষ দোয়া গাজীপুরে তাপদাহে ঝরছে লিচুর গুটি, দিশেহারা চাষিরা আপনারা শুধু ভোটার, আপনাদের কথা বলার অধিকার নেই: উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী চার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রজ্ঞাপন ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বৃষ্টির জন্য সালাতুল ‘ইসতিসকার’ নামাজ ও বি‌শেষ দোয়া বাণিজ্যিকভাবে আঠাবিহীন বারোমাসি কাঁঠাল চাষে ভাগ্য খুলেছে সবুজের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বৃত্তে আটকা ভোলার জনজীবন! একদিনের ব্যবধানে আবারও কমলো সোনার দাম মোবাইলে ডাটার মেয়াদ চায় না ৯৮ শতাংশ মানুষ এফডিসিতে মারামারি, বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত গাজীপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিকার নামাজ আদায় লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে তিন শিশুর মৃত্যু বাগেরহাটে দোকান ঘর ভেঙ্গে খাদে পরিবহন, নিহত ১ নবীনগরে চলে না ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন! উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী ড্রামের ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি