ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য মতে, দানা পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এখন ৪৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
বৈরী আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর, মিস্ত্রি ও নির্মাণ শ্রমিকরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি। রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচলও ছিল কম। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বর্তমানে আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতাও বেড়ে গেছে। একই সাথে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, ঘূর্নিঝড় দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা দিয়েঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পায়রা সহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্নিঝড় দানা মোকাবেলায় ৮২৯ টি সাইক্লোন সেল্টার সহ সিপিপি সেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম প্রস্তত রেখেছে জেলা প্রশাসন।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আক্তার জাহান সাংবাদিকদের জানান, উপকূলে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে নদ-নদীর পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।