নওগাঁর পত্নীতলার ঘোষনগর জংগীপীর সাহেব আলিম মাদ্রাসায় ইংরেজি ও কৃষি পদে শিক্ষা নীতিমালা বহিভূত ভাবে একেক পদে দুজন করে শিক্ষক কে নিয়োগ দেবার অভিযোগ উঠেছে অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইদ্রীস আলী’র বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০০১ সালে ঘোষনগর জংগীপীর সাহেব আলিম মাদ্রাসায় মো: বকুল হোসেন সহকারি শিক্ষক ( কৃষি ) পদে নিয়োগ পেয়ে সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার ঐ একই পদে ( সহকারি শিক্ষক কৃষি ) ২০১৫ সালে মে মাসের ২৮ তারিখে শিক্ষা নীতিমাল বহিভূত ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় মো: মুনিরুল ইসলাম কে।
অপর দিকে মো: মোয়াজ্জেম হোসেন ২০০৬ সালে সহকারি শিক্ষক ( ইংরেজি ) পদে নিয়োগ পেয়ে সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার ঐ একই পদে ( সহকারি শিক্ষক ইংরেজি ) ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ২৫ তারিখে শিক্ষা নীতিমাল বহিভূত ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় মো: শাহাদাত হোসেন কে। সহকারি শিক্ষক কৃষি পদে মো: মুনিরুল ইসলাম ও সহকারি শিক্ষক ইংরেজি পদে মো: শাহাদাত হোসেন এর এমন শিক্ষা নীতিমালা বহিভূত নিয়োগের বিষয়ে ঘোষনগর জংগীপীর সাহেব আলিম মাদ্রাসার সুপার মো: ইদ্রীস আলী’র কাছ থেকে জানতে চাইলে কোন উত্তর না দিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক মো: মুনিরুল ইসলাম ও মো: শাহাদাত হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আমাদের নিয়োগ দিয়েছে অধ্যক্ষ। তিনি কিভাবে নিয়োগ দিয়েছেন সেটা তার বিষয়, এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না।
ঘোষনগর জংগীপীর সাহেব আলিম মাদ্রাসার সভাপতি ও পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: পপি খাতুন বলেন, ইতিপূর্বে বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত অনুযায়ী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।