আন্দোলনে নিহত ৭৩৭, দুই চোখ হারিয়েছেন ৩৫ জন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

0

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৭৩৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হতে পেরেছে সরকার। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আন্দোলনে আহত হয়েছেন ২২ হাজার ৯০৭ জন। আহতদের মধ্যে চোখ হারিয়েছেন ৪০০ জন। এর মধ্যে দুটি চোখই হারিয়েছেন ৩৫ জন!

আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রদের দাবি নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি। হাসপাতালে আনার পর কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেগুলো রেজিস্টারে তোলা হয়নি। অনেকে বিনা ময়নাতদন্তে মৃতদেহ নিতে বাধ্য হয়েছেন। নিহতদের যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে তা যাচাই করা হয়েছে। ছাত্রদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠানো হবে। কিছু আহত উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ভর্তি হয়েছে। আহতদের পা কাটা ২৩ জন এবং হাত কাটা তিনজন আছেন। আহতদের চিকিৎসার দায়ভার সরকার নিয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। দু’জনকে বিদেশে চিকিৎসা করানো হতে পারে বলেও জানান উপদেষ্টা।

এদিকে বাজারে ওষুধের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ওষুধের দাম কমাতে হলে সব কোম্পানিকে জেনেরিক নাম ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু জেনেরিক নাম লেখারে বিষয়টি কোম্পানির মালিকেরা সহজভাবে নিচ্ছেন না। ওষুধের দাম যাতে বেঁধে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে কাজ করা হবে।

স্বাস্থ্য সেবা আইন চলতি মাসেই উপদেষ্টা পরিষদে উঠছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আইনটি অনেক দিন ধরেই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি চিকিৎসকেরা কমপ্লিট শাটডাউন দেওয়ার পর আইনটি বাস্তবায়নের জন্য আট দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। বর্তমানে আইনটি মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। এরপর নার্সরা আন্দোলন করেন। তাদের দাবি যৌক্তিক। তাঁদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।

আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করতে চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের মতামত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে মতামত নেওয়া হচ্ছে। সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতেই আইনটি পাস হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে। সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার তৈরি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দুই সচিব ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর