বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মাষ্টার গোলাম রসুল হত্যা মামলার স্বাক্ষীকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় হোগলাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ফরিদকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিনের বৌলপুর গ্রামের মৃত অন্নাত আলী শেখের ছেলে ভিকটিম বেলায়েত হোসেনের দায়েরকৃত মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আনুমানিক ১৪ বছর পূর্বে ততকালীন যুবলীগ নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ফরিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাদীর ভাগিনা মাষ্টার গোলাম রসুলকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৫ মে ফরিদুল ইসলামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় নিহত গোলাম রসুলের মামা বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষী হওয়ায় আসামিরা তাকে হত্যা ও গুম করার হুমকি দেয়।
ঘটনার দিন গত ৮ মার্চ-২৪ সন্ধার পরে বেলায়েত হোসেন তার বড় ভাইয়ের ছেলে ভিকটিম অা. রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ইজি বাইক যোগে নিহত ভাগিনা গোলাম রসুলের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে একই এলাকার নিরোধ সমাদ্দারের বাড়ির সামনে পৌছলে চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পূর্বথেকে ওত পেতে থাকা দেশিয় অস্রশস্রে সজ্জিত একদল সন্ত্রাসী ইজিবাইকের গতিরোধ করে ঘিরে ফেলে। এরপর বেলায়েত হোসেন ও তার ভাতিজাকে টেনে হেচরে রাস্তায় নামিয়ে রামদা, চায়নিচ কুঠার, হকিস্টিক, জিআই পাইপ ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় ১ নং আসামি চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম আহত বেলায়েত হোসেনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার সাথে থাকা নগদ টাকা, গলায় থাকা স্বর্নের চেন এবং মোবাইল ফোন সিনিয়ে নেয়।
সন্ত্রাসীরা বেলায়েত হোসেন ও তার ভাতিজাকে মৃত্যু ভেবে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়। পথচারীরা তাদেরকে রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজনকে খরব দিলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে পার্শবর্তী পিরোজপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত বেলায়েত হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাতক্ষনিক অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৫/৯/২৪) মোরেলগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে হোগলাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলামসহ ১৯ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।