জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের বাঁশকাটা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি কর্তৃক হামলা ও মারপিটের ঘটনায় দুই স্বামী-স্ত্রী গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, বাঁশকাটা গ্রামের মৃত সাহেব আলী মন্ডলের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ রিনা আক্তার (৪৮)।
এ ঘটনায় আহতদের ছেলে মোঃ সাহিদ হোসেন বাদি হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে গেছে, বাঁশকাটা গ্রামের মৃত সামছুদ্দিনের ছেলে মোঃ বিপ্লব (৪৫), মোঃ কাউছার (৪৮), মোঃ বুলেট হোসেন (৪২), বিপ্লব হোসেনের ছেলে মোঃ তুষার হোসেন (১৯), কাউছার হোসেনের ছেলে মোঃ অভি হোসেন (২২) তাদের পাড়া প্রতিবেশি। তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মোঃ সাহিদদের পারিবারিক বিষয়াদী নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এমতাবস্থায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ আগস্ট শনিবার দুপুরে বিবাদীদের বাড়ির সামনে সহিদের পিতা সাইদুল ইসলাম ও তার মা রিনা আক্তারকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। সে সময় এর কারণ জানতে চাইলে মোঃ কাউছারের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে সাইদুল ইসলাম ও রিনা আক্তারকে মারপিট করলে রিনা আক্তারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মোঃ বিপ্লবের হাতে থাকা কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে আবারও মারপিট করে শরিরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফোলা জখম করে।
এ সময় সাইদুল ইসলাম তার স্ত্রী রিনা আক্তারকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে মোঃ বুলেট হোসেন, মোঃ তুষার হোসেন ও মোঃ অভি হোসেনগণের হাতে থাকা কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করলে সাইদুল ইসলামের হাত, পিঠসহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। উক্ত সময় মোঃ অভি হোসেন রিনা আক্তারকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেঁপে ধরে এবং মোঃ তুষার হোসেন রিনা আক্তারের কানে থাকা ৬ আনা ওজনের রিং ও গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেন জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
এসব ঘটনার এক পর্যায়ে ওই গ্রামের মোঃ হাহিবুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ শারমিন আক্তার (২৬), মোঃ রাজু হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ সাথী আক্তার (৩৪)সহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে তারা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভির্তি করিয়ে দেয়।
এ মামলার বাদি আহতদের ছেলে মোঃ সাহিদ হোসেন জানান, থানায় মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামিরা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এভাবে দুজন বয়ষ্ক মানুষকে মারপিট করা ঠিক হয়নি। আমরা এর তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।