শেরপুরে টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির সার্বিকভাবে উন্নতি হয়েছে। জেলার পাহাড়ি ৪টি নদীর পানিও কমা অব্যাহত রয়েছে। এসব নদীর পানি এখন বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পর্যন্ত নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১জনে।
এদিকে ব্রক্ষপুত্র, দশানি ও মৃগী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো এসব নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১জনে।
জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জনগণ দুর্ভোগ কমেনি। এখনো দুর্গত এলাকায় খাদ্য সংকট রয়েছে। সেসব এলাকায় খাদ্য সামগ্রী ও রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলার বাইরে থেকে ময়মনসিংহ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার কাজ করতে এবং ত্রাণ নিয়ে শেরপুরে এসেছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৩ বীরের অধিনায়ক ল্যাফপ্টেনেন্ট কর্ণেল হাসান হাফিজিুল হক বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছি দূর্গত এলাকার মানুষের দূর্ভোগ লাগব করতে। আমাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’