চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার ৪নং সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ শাহিন মোল্লার অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সীমান্ত ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ এলাকার সাধারন জনগন এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধনে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদে বৈষম্য দূর করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে সেবা মূলক কাজের তালিকা প্রকাশের জন্য বলা হলেও ১মাসের মধ্যে সচিব শাহিন মোল্লা তা প্রকাশ করেনি তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে, জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নাগরিক সনদপত্র নিয়ে সাধারন মানুষের ভোগান্তি, টিসিবির কার্ড নিয়ে দলীয়করন করাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক।
সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবুবক্কর অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শাহিন মোল্লা, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গনি, সাধারন সম্পাদক বাদল হোসেন টিসিবি’র কার্ড নিয়ে বৈষম্য করছে। ইউনিয়নে যে পরিমানে টিসিবি’র কার্ড আছে, তার থেকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম সীমান্ত ইউনিয়ন শাখার নিকট তারা ৫% দিবে বলে জানিয়েছেন। এমন কি সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদে যে সমস্থ ইউপি সদস্য আছে তাদের কাউকে কোন কার্ড দেওয়া হয়নি।
সচিব তাদের ভয়ে জামায়াত ইসলামী সাধারণ মানুষের সাথে বৈষম্য করেছেন। এটা ঠিক না এটা খুব দুঃখজনক।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ইউপি সচিবকে দ্রুত এই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপসারণ দাবি জানিয়ে আরও বলেন, বাংলাদেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। এ ইউনিয়নের সাধারন মানুষের সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কোন দলীয় করন করা যাবে না। যদি কেউ দলীয়করন করে তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। জামায়াত ইসলাম কোন টেন্টারবাজ না, কোন দখলবাজ না, কোন লুটতারাজ করে না। জামায়াতে ইসলাম আল্লাহর হুকুম মেনে কাজ করে, তাই যারা এ ধরনের বৈষম্য করছেন তাদের হুশিয়ার করে হলো যদি কোন বৈষম্য করা হয় তা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের প্যনেল চেয়ারম্যান আরজাম হোসেন জানান, টিসিবি’র কার্ডে বিষয়ে আমার বা মেম্বারের সাথে কোন আলোচনা না করে তারা নিজেদের মত তালিকা প্রস্তুত করেছে।
সীমান্ত ইউপি সচিব শাহিন মোল্লা বলেন, টিসিবি’র কার্ড নিয়ে আমি কোন দলীয় করন করি নাই বরং দুই পক্ষকে ডেকে একটা সমাধান করার জন্য চেষ্ঠা করা হলে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা আসলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আসে না, আবার জামায়াতের নেতাকর্মীরা আসলে বিএনপির কোন নেতাকর্মীরা আসে না। দুই পক্ষই তালিকা দিয়েছে তালিকার কাজ এখনও শেষ হয়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী আলাউদ্দিন, সাবেক ইউনিয়ন আমির মোহাম্মদ আব্দুস সালাম,সাবেক আমির মোঃ আতিয়ার রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসানুজ্জামানসহ ৫শতাধিক জনগণ।
এ বিষয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গনির সাথে কথা বলার জন্য মুটোফোনে যোগাযোগের জন্য চেষ্ঠা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, এবিষয়ে শুনেছি, তদন্ত করা হবে। তদন্ত ফলাফল অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।