হাওরাঞ্চলে বিলুপ্তির পথে বুনো গোলাপ

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলের বিল- ঝিল, কানদার পরিত্যক্ত ভূমিতে প্রাকৃতিক ভাবেই বেড়ে ওঠত (বল্লোয়ার ফুল) বা বুনো গোলাপ।

সবুজ শ্যামল এ দেশের জীববৈচিত্র‍্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হিসাবে বিশেষ ভূমিকা রাখত বনাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলে সৌন্দর্যে। কালের বিবর্তনে অনেক এলাকা থেকে বুনো গোলাপ হাড়িয়ে গেছে। কিছুটা রয়েছে সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর সংরক্ষিত এলাকায়।

বিভিন্ন প্রজাতির পাখপাখালি মিটাপানির মাছ জলজ উদ্ভিদসহ বিভিন্ন প্রাণী আর কিছু বিশেষ গাছপালা নিয়ে গড়ে উঠেছে হাওর ইকোসিস্টেম।হাওরগুলো মূলত রয়েছে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলেরসুনামগঞ্জ,সিলেট,মৌলভীবাজার,হবিগঞ্জ,নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।তবে সুনামগঞ্জে সবচেয়ে বেশি হাওর রয়েছে।তার মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর সবচেয়ে অন্যতম।দেশের একমাত্র বুনো গোলাপ( বলুয়ার ফুল)টি বিভিন্ন হাওরে বিলুপ্ত হলেও এখন পর্যন্ত টাঙ্গুয়ার হাওরের দুই একটা হাওরে এখনো দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

জীববৈত্র‍্যের এই গুরুত্বপূর্ণ আধার হাওরের সম্পদ ক্রমশ বিলুপ্ত হচ্ছে।হিজল আর করচগাছের সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।হারিয়ে যাচ্ছে শিঙাড়া,লাল পদ্মসহ,নানা জলজ উদ্ভিদ। হিজল করচ,বরুণ ও নলখাড়ার সমন্বয়ে যে বনাঞ্চল গড়ে উঠেছিল তার অধিকাংশই এখন আর নেই।হাওরের যে উদ্ভিদ প্রজাতিটি এখন সবচেয়ে দুর্লভ ও বিপন্ন সেটি হচ্ছে বুনো বা জংলি গোলাপ। তবে হাওরবাসী কাছে এই ফুল গুজাকাঁটা বা বল্লোয়ার ফুল নামেই পরিচিত।

গোলাপ চেনে না এমন কেউ নেই।তবে বুনো গোলাপকে শুধু হাওরবাসীই ভালো চেনে।সম্প্রতি টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে হাওরের পইল্যার বিলের কান্দা ও রাজারদাইড় নামক কান্দার বিচ্ছিন্ন ভাবে খুঁজে পাওয়া গেছে এ গোলাপ। বুনো গোলাপের বৈজ্ঞানিক নাম Rosa cinophylla। ঝোপময় কাঁটাযুক্ত গুল্ম প্রকৃতির উদ্ভিদ, সাধারণত ৩থেকে ১৫ফুট লম্বা হয়।বছরের পাঁচ-ছয় মাস পানির নিচে থাকে কাণ্ডের মূল অংশ।সাজানো বাগানে খানদানি গোলাপগুলো যখন বৃন্তচ্যুত হতে থাকে,ঠিক তখনই সাদা পাপড়ি নিয়ে গ্রীষ্মের প্রারম্ভে হাওরের মাঝে আত্মপ্রকাশ করে অনাদরের বুনো গোলাপ। ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ফুল ধরে এতে ফুল সুগন্ধি, পাপড়ি পাঁচটি। বীজে চারা গজায়। বীজ বা চারা থেকে বাড়ির বাগানে কেউ এ গোলাপ করতে পেরেছে কি-না এমন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায় এই বিপন্ন প্রজাতির বুনো গোলাপটির হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো কৃষি ও জ্বালানি এবং ঔষুধের জন্য শেকড় সংগ্রহ সহ মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারনে এই বিপন্ন প্রজাতির বুনো গোলাপ হারিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায় এই বিপন্ন প্রজাতির বুনো গোলাপ সংরক্ষণ করতে প্রয়োজন স্থানীয়দের সচেতনতা, দায়িত্বশীলদের বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকা চিহ্নিত করে,সংরক্ষণের আওতায় এনে একে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
ঝিনাইদহে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৭৯.২৩ শতাংশ নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে পর্নোগ্রাফি বিক্রি, আটক সাত ব্যবসায়ী নওগাঁয় ৩৫ কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে ভুক্তভোগী কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গোয়ালন্দে আনারস প্রতীকের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী বাকৃবিতে ভেটেরিনারি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাল্টা কাওসারকে নিয়ে শংকিত পাওনাদাররা পাইকগাছায় মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ পাইকগাছায় ফসিয়ার রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২৭৫ জন ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান নরসিংদীর পাঁচদোনায় বাস-মাইক্রোবাস মুখোমুখী সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৩ শেরপুরে জাতীয় বিজ্ঞান মেলা ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড উদ্বোধন এবার পদ্মা সেতু ঘুরে যাবে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী সিলেটের ৮ উপজেলায় নতুন মুখ হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা পুলিশের পৃথক অভিযানে দশ কেজি গাঁজা ও ওয়ারেন্টের ১৫ আসামী গ্রেপ্তার কোস্টগার্ডের অভিযানে গাঁজাসহ আটক ২ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভরসা দুমকিতে হত্যা মামলার দু’আসামি গ্রেফতার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে