বরিশাল মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় দুদিনে ১২ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ছয়জন ও উজিরপুরে পাঁচজন রয়েছেন।
বাস, মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে সড়ক দূর্ঘটনা।দিকে যেমন মহাসড়কে সরু রাস্তা অপর দিকে ধীরগতির গাড়ি চলাচল।থ্রী হুইলার মহাসড়কে দূর্ঘটনার অন্য কারণ।অনিয়ন্ত্রিত অনুমদিত গাড়ি মহাসড়কে চলার কারণে বাড়ছে দূর্ঘটনা। মহাসড়কে পাশে হাটবাজার বসার কারন অন্যতম কারণ।গত দুই দিনে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে ১২জন আহত অনেক জন।
গত বুধবার (২০ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিআরটিসির একটি বাস (কুমিল্লা-ব ১১-০০৫৫) কুয়াকাটা থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে একটি অটোরিকশা বাকেরগঞ্জ শহর থেকে যাত্রী নিয়ে পায়রা সেতু সংলগ্ন দাদুরহাট এলাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে বিআরটিসি বাসটি অটোরিকশাটি চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালক ও তিন যাত্রী নিহত হন। আহত হন তিন যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমির চৌধুরী (৬০), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হাসিব (২৫), পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার তানজিলা বেগম (৪০), অটোরিকশাচালক মো. সোহাগ (২৪), গৌরনদী উপজেলার ফয়সাল হোসেনের স্ত্রী সাথী আক্তার (২২) ও তার দেড় বছর বয়সী মেয়ে ফারহানা। দুর্ঘটনায় আহত সাথী আক্তারের স্বামী ফয়সাল হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে উজিরপুর উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নতুন শিকারপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁঁচজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- গাজীপুর থেকে একটি মাইক্রোবাস যাত্রী নিয়ে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে, বরিশাল থেকে মোল্লা ট্রাভেলসের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নতুন শিকারপুর এলাকায় মাইক্রোবাসটির চাকা পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়।
এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোল্লা ট্রাভেলসের বাসটি মাইক্রোবাসকে চাপা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাইক্রোবাসের এক যাত্রী। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও তিন মাইক্রোবাস যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনায় আহত ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে শহিদুল ইসলাম নামের আরেক মাইক্রোবাস যাত্রীর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাইক্রোবাসের যাত্রী রুহুল আমিন (৪৫), আবদুর রহমান (৪৬), মো. হাসান (৩৬), নুরুল আমিন (৪৭) এবং শহিদুল ইসলাম (৪০)।’