রাজশাহীর তনোরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে প্রতারণা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিটে মাটিতে অবৈধ পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
পুকুরের মাটি বানিজ্যে করতে এলাকার পাকা-কাঁচা রাস্তা নষ্ট করায় গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) শ্রীখন্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন বলেন, সিষ্টেম করেই তিনি পুকুর খনন ও মাটি বাণিজ্যে করছেন। সিস্টেম বলতে কি বোঝায় এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের ম্যানেজ করা।
এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫ মার্চ রোববার কামারগাঁ ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) কাওসার আলী পুকুরে গিয়ে ভিটে মাটি কাটতে নিষেধ ও একটি ট্রাক্টরের চাবি জব্দ করেন। কিন্ত্ত এ কথা শোনার পর ভেুকু দালাল জামাল ভুমি কর্মকর্তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক ভিটে মাটি কাটা শুরু করেছে।এতে প্রশ্ন উঠেছে অবৈধ ভেঁকু দালালদের এতো ক্ষমতার উৎস্য কি ?
জানা গেছে, উপজেলার কাঁমারগা ইউপির শ্রীখন্ডা মৌজায় ১২১৭ নম্বর দাগে ৭০ শতক আয়তনের পুরাতন পুকুর খননের অনুমতি নিয়েছেন ধান ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ও মতিউর রহমান মতি। কিন্ত্ত ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন ওই পুকুরের পাশে ১২১৮ নম্বর দাগের প্রায় ৮০ শতক ভিটে মাটির বেশ কয়েকটি পরিপক্ক তাজা গাছ কেটে অবৈধভাবে সেখানে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি করছে।আর এসব মাটি পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামের সমস্ত কাঁচা-পাকা রাস্তা নস্ট করা হচ্ছে।
এঘটনায় ভেঁকু দালালদের শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতিঃ জানে আলম বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা তহসিলদার কাওসার আলী বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে ভেঁকু বন্ধ রাখতে বলে একটি ট্রাক্টরের চাবি জব্দ করেছি, কিন্ত্ত ভেঁকু দালাল তাকে হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক ভেঁকু চালায়।
তিনি বলেন, প্রতিবেদন তৈরীর কাজ চলছে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে। এবিষয়ে ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন বলেন ইউএনও এবং ওসির অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি করছি, তহসিলদার কেনো চাবি জব্দ করবে, তাকে কে চাবি জব্দ করতে বলেছে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, রাস্তা নস্ট হলে সরকার দেখবে গ্রামবাসির কি তারা কি রাস্তা করে দিবে। এবিষয়ে পুকুর মালিক ধান ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, তিনি ভিটেমাটি কাটার জন্য যেখানে যা লাগবে তা বকুল মেম্বারকে দিয়েছি, তাই এবিষয়ে তার কিছু বলার নাই।