ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের একটি মসজিদের সম্প্রসারিত নির্মাণাধীন নামাজ পড়ার একটি ঘর মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে ভেঙে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) জুম্মার নামাজ শেষে উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের চিলারং উত্তরপাড়া আহলে হাদিস বড় জামে মসজিদের সম্প্রসারিত নির্মাণাধীন নামাজ পড়ার একটি ঘর মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে ভেঙে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়েছেন। দূর্বৃত্তরা মসজিদের জমিটি তাদের দাবি করছে। অথচ মসজিদের নামে ১৩ শতক জমি দান করেছিলেন স্থানীয় তিনজন ব্যক্তি।
চিলারং উত্তরপাড়া আহলে হাদীস বড় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, জুম্মার নামাজ শেষে স্থানীয় আব্দুল কাদেরর ছেলে আইনুল হকের নেতৃত্বে তার ভাই আফজাল হোসেন,আহসান,আসাদুর,আবুল তাদের মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙ্গ গুড়িয়ে দেয়। তারা অনেক প্রভাবশালী বলে তাদের ভয়ে বাধা দেয়নি স্থানীয়রা। এবিষয়ে খবর দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, এইভাবে মসজিদের ঘর ভাংচুর করে তারা ধর্মীয় বিষয়ে আঘাত করছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রশাসন যেন দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।
চিলারং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘মসজিদে নামাজের জায়গা সংকটের কারণে ৫৯২ নাম্বর খতিয়ানের ৪১১২ দাগের ১৩ শতক জমি মসজিদের নামে দান করেছেন স্থানীয়রা। সেই জায়গায় নামাজ পরার জন্য ইট দিয়ে ঘর নির্মান করা হচ্ছিল এতে তারা বাধা দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেও ২৪ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে আইনুলের নেতৃত্বে তার ভাই গুলো অর্ধনির্মিত ঘরটিকে ভেঙ্গে দেয়। আমরা এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
এছাড়াও মসজিদের কর্তব্যরত মসজিদের খতিব আব্দুর রহমান বলেন, জুম্মার নামাজের শেষে মানুষ চলে যাওয়ার পরে আইনুলসহ তারা ৪-৫ ভাই মাহিন্দ্র দিয়ে মসজিদের ঘরটি ভেঙ্গে দেন। কিন্তু আমি ভয় পেয়ে তাদের কিছু না বলে সেখান থেকে চলে যাই।
মসজিদে জমি দান কারী খাতিবর বলেন, আমি সহ আমার দুই ভাই এই ১৩ শতক জমি মসজিদের নামে দানপত্র করেছি। কিন্তু যারা ঘর ভাংচুর করেছে তারা কেন এই জমি দাবি করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা কেন কিভাবে তাদের জমি দাবি করছেন এটা আমার জানা নেই।
অভিযুক্ত আনুইল হককে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার নেতৃত্বে মসজিদের ঘর ভাংচুরের অভিযোগের এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কল কাটে দেন।
এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘এমন একটি খবর পেয়ে ঘটনস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’