ঢাকাই সিনেমার নায়ক জায়েদ খান বিভিন্ন কারণে বছরজুড়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার তিনি জানিয়েছিলেন, ৫ টি সিনেমার পারিশ্রমিকের টাকা দিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটাতে চান এক মেয়ে। বিষয়টি নানা সমালোচনার মধ্যে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে আবারও মুখ খুললেন অভিনেতা। বিষয়টি অস্বীকার করে বললেন, এ ধরনের কোনো কথায় আমি বলিনি।
সমালোচদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেউ বলেছে এটা একটা রোগ জায়েদ খানের। কতটা মেন্টাল সিক তারা। আমি বিয়েতে বা কোথাও গেলে মেয়েদের মধ্যমণি হই, আমার রাশিটাই এমন। আমি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি এবং এগুলো আমি খুব এনজয় করি।’
জায়েদ খান বলেন, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলি, অনেকে হয়তো বাজেভাবে ব্যাখ্যা করে। একটা হিরো কোথাও বসলে কোনো মেয়েরা যদি সেলফি না তোলে, ঘাড় ঘুড়িয়ে না দেখে তাহলে আমার মনে হয় তার হিরোগিরি করার কোনো দরকারই পরে নেই। আমি এই কথাগুলো বলেছিলাম সরল মনে। এগুলোকে অনেকে ব্যঙ্গ করেছে, কেউ বলেছে এটা একটা রোগ জায়েদ খানের। কতটা মানসিকভাবে অসুস্থ তারা। আপনারা তো নিজেরাই আজকে দেখলেন। এটা আরও ৫-১০ বছর আগে থেকেই এমন হয়।
Google News rajdhanitimes24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
‘এটা তো বাজে কিছু না, তারকা বলেও না। আমি কাজ করি হয়তো তাই। আমি সবসময় বলেছি, এটা আমার একার ক্ষেত্রে না শুধু, আরও যারা নায়ক আছেন তাদেরও নিশ্চয়ই হয়। আমার একটু বেশি হয়, আমি হয়তো বিয়ে করিনি, ব্যাচেলর বা যাদের বিয়েশাদি হয়নি, তাদের তো এমনিতেই একটু অন্য চোখে দেখে সবাই।’
এই চিত্রনায়ক আরও বলেন, ‘আরেকটা জিনিস আজকে আমি পরিষ্কার করতে চাই। কিছু শ্রেণীর মানুষ একটা বাজে ব্যাখ্যা দিচ্ছে যে, আমি একটি মেয়ের কথা বলেছি, সে পাঁচটা সিনেমার টাকা কিনে নিয়েছে, আমার সঙ্গে রাত্রি যাপনের জন্য বলেছে। এ ধরনের কোনো কথাই বলিনি। এটা একটা নোংরামি, বাজে কথা। অনেক মেয়েরা হয় না যে পছন্দের নায়কের সঙ্গে কথা বলতে চায়। কিন্তু আমি সব সময় তাকে এড়িয়ে চলেছি, বলেছি যে আমি ব্যস্ত।
‘মেয়েটি আমাকে বলেছে যে, আমি আপনার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই, আপনার সম্পর্কে জানতে চাই, আপনি সিনেমায় কত নেন, কিভাবে সিনেমায় এলেন সেই গল্পটা জানতে চাই, এর জন্য দরকার পড়লে আমি আপনার ৫টা সিনেমার শিডিউল আমি কিনে নেব। সে তো ভালোভাবে কথাটা বলেছে। বাজে কিছু বলেনি। সেটাকে কিছু সুশীল লোক, কিছু ইউটিউবাররা, ভিউ বাড়ানোর জন্য বাজেভাবে রিপ্রেজেন্ট করছে। এটা খুবই খারাপ। একটা হিরো বা খেলোয়ারের কিছু মেয়ে ভক্ত থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক।’