১০ ডিসেম্বর বিএনপির সরকার পতনের ঘোষণাকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বর তো চলে গেলো, বিএনপি নেতারা কোথায়? আজকে পল্টনে গেলেন না? হাফ ডিফিট (অর্ধেক পরাজয়) তো হয়ে গেছে।’
সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদেরসাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া তো ক্ষমতা দখল করতে পারলো না, উনি যেখানে ছিল সেখানেই আছে। কই ক্ষমতা দখল করলেন না আপনারা? তারেক জিয়া তো মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর চলে গেলো। তারেক কোন বছর দেশে আসবে।’
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সরকার পতনের আলটিমেটামের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলার সভাপতিত্বে জনসভায় কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা দেন। জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
জনসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নয়াপল্টনের অফিস ১০ তারিখে সমাবেশ, অনুমতি পায়নি। অনুমতি পাওয়ার আগেই তারা কী করেছে? তারা সেখানে প্রস্তুতি নিয়েছে। পরে পুলিশ তল্লাশি করে সেখানে কি পেলো? ১৬০ বস্তা চাল, ওই যে হাড়ি-পাতিল ও মশারি-বিছানা।’
বিএনপি আন্দোলনের নামে নয়াপল্টনে পিকনিক পার্টি করতে চেয়েছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির পল্টনের কার্যালয়ে ১৬০ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। আরও অনেক সরঞ্জাম ছিল। আসলে তারা পিকনিক পার্টি করতে চেয়েছিল। বিভিন্ন জেলার সমাবেশেও একই কাজ করেছে তারা। কোথা থেকে আসে টাকা? কোন ব্যবসায়ী, কোন শিল্পপতি কত টাকা দিয়েছে, সে খবর আমরা জানি। কারা টাকা দিয়ে পিকনিক পার্টি করাচ্ছে বিএনপিকে দিয়ে তাও আমরা জানি। সময়মতো সব প্রকাশ করা হবে।’
পদ্মা সেতু হওয়ায় বিএনপির মনে অনেক ব্যথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু হয়ে গেলো। এখন আবার মেট্রোরেল হয়ে যাচ্ছে, শতভাগ বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। নানা সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে আজ ঈর্ষান্বিত বিএনপি।’
খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার খেলা হবে বিএনপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ও লুটপাটের বিরুদ্ধে। খেলা হবে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে। প্রস্তুত হয়ে যান, মাঠে জবাব দেবো।’
মানুষ অনেক কষ্টে আছে, আমরাও একটু বিপদে আছি জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তবু আমরা ভয় পাইনি। সংকট মোকাবিলা করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারও ব্যাপারে নাক গলাই না। তাহলে আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামান কেন, কেন-ই-বা নাক গলান। ইতোমধ্যে তারাও বুঝে গেছে, বিএনপি বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করে। এজন্য বিএনপির নাম বাংলাদেশ নালিশ পার্টি।’