সিন্ডিকেট কর্পোরেট পাচাকারীদের শকুনিদৃষ্টি পদক্ষেপ জরুরী

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। সোনার বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, আমার মাতৃভূমি। মায়ের মতোই নিবিড় সম্পর্ক দেশের দেশপ্রেমিক শ্রমজীবী, মেহনতি, কৃষক সাধারণ মানুষের। সোনার বাংলায় কর্পোরেট শকুন এবং সিন্ডিকেট শকুনের কৃদৃষ্টি পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের প্রতিদিনের উর্ধ্বগতিতে যুক্ত হয় হয় নতুন নতুন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। খুচরা বাজার পাইকারী বাজরের ওপর, পাইকারী বাজার সিন্ডিকেট, ডিলার, কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের ওপর। আবার উল্টো দিকে থেকে সিন্ডিকেট, ডিলার, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা পাইকারী বাজরের ওপর, পাইকারী বাজর খুঁচরার বাজারে ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে একেক একজন নিজেদেরদের ধোঁয়া তুলশী বলে জাহির করছেন। আর এদিকে আমাদের সাধারণের অবস্থা দিশেহারা।

গত কয়েকদিন অস্থির ডিমের বাজার। আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা প্রায় ৪কোটি ডিমের বেশি আর একটি ডিমে যদি ৩টাকা করে বেশি নেয় তাহলে শুধূ ডিমের বাজার থেকেই প্রতিদিন হাতিয়ে ‍নিচ্ছে ১২কোটি টাকার ওপরে এইভাবে একমাস চলমান থাকলে শুধু ডিম বাবদ জনসাধারণের পকেট থেকে চলে যাবে ৩৬০কোটি টাকা। বাজারে কোন পন্যের অভাব হয় অতিরিক্ত মূল্যে। কোন পণ্যের যদি সংকট থাকে বা ঐ পন্য যদি বাজারে নাই থাকে তবে টাকা হলেও পাওয়ার কথা নয় এটা হলো সঠিক যুক্তি কিন্তু অতিরিক্ত টাকা দিলে যদি কাঙ্কিত পন্য মিলে তবে তা কৃত্রিম সংকট এবং অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য। যা সম্পন্ন অনৈতিক, অমানবিক, অবৈধ ও বেআইনী। কিন্তু যারা এগুলো দেখার কথা তারাও যেন অলস সময় পার করছেন, দেখেও না দেখার ভান করছেন কোন সে ঈশারায় তা আমাদের জনা নেই। গায়েবী এসএমএস-র মাধম্য বেড়ে যাচ্ছে পণ্যের মূল। আমাদের জীবন তাই আজ দিশেহারা। কোথাও কোন আলোর দেখছি না। উৎপাদিত পণ্যের মূল্য দ্বিগুন-তিনগুণ বাড়লেও উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমিকদের বেতন এক টাকাও বাড়েনি। উন্নয়ন হয়নি জীবন মানের। মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে, আয় বৈষম্য, শ্রেণি বৈষম্য। গত এক বছরে এমন কোন পন্য নেই যার মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। কিছু কিছু পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ-তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন ঘোষণা ছাড়াই মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে যতখন,তখন। কিন্তু যখন মূল্য হ্রাসের ঘোষণা আসে তখন নানা অজুহাতের পূর্বের মূল্যেই বহাল থাকছে এবং সেই ঘোষণার রেস কাটতে না কাটতেই আরেকবার মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে। এখানে জনগণকে বোকা বানানোর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ১০০/২০০/৫০০/১০০০ টাকা বৃদ্ধি করে ২০/২৫ টাকা কমিয়ে দিয়ে বেশি বেশি করে প্রচার করতে থাকে দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি দ্রব্যমূল্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা মধ্য দিয়ে সামনের দিকে পাগলা ঘোড়ার গতিতে ছুটছে। আর এইগতির সাথে তাল মিলাতে না পেরে জনজীবন হয়ে উঠেছে বেসামাল। যেন দেখার কেউ নেই। দেশে কী এমন সংকট তৈরি হলো যে চালের দাম কেজি প্রতি ১০থেকে ১৫টাকা, ডাল, আলু, পেয়াজ-রসুন,আদা, ডিম,কাগজ ইত্যাদির প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করতে হলো ? সিন্ডিকেট এবং কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ জনগণের পকেট। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জীবন আজ প্রায় অতিষ্ঠ, দিশেহারা, সংসার জীবন এবং পারিবারিক জীবনে তৈরি হয়েছে নানা সংকট। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য অনেকেই জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আবার অনেকে ঋণের দায় থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। চাল কিনলে ডাল কিনতে পারছেন না আবার তেল কিনলে লবন কেনা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ বলছেন উৎপাদন বেড়েছে অথচ বাজারে জিনিসপত্রের দাম আগুন ছোয়া।

বিজ্ঞাপন

এখন ১ কোটি মানুষ ভোগ করছেন আর সতেরো কোটি মানুষ হা করে তাকিয়ে আছেন। জীবন আজ কালো ধোঁয়ার মত অন্ধকার। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আজ নাগালের বাহিরে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির দৌড়ে পিছিয়ে আছি আমরা সাধারণ মানুষ। যাদের নূন আনতে পান্থা ফুরোয়। দ্রব্যমূল্যের প্রতিদিনের এই উর্ধ্বগতিতে মনে হচ্ছে আমরা যুদ্ধের বাজারে আছি। যুদ্ধের বাজারেও দ্রব্যমূল্যের এতো উর্ধ্বগতি হয় না। যে যেভাবে পারছি মুনাফা করে যাচ্ছি যেন কোনই জবাবধিহিতা নেই। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের যেন আর কোন পথই খোলা নেই। যেন কারো কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই। গত বিশ বছরে চাল,ডাল তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরমূল্য যতনা বৃদ্ধি পেয়েছে তার চেয়ে অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে বর্তমান সরকারের চলতি ছয় মাসে। অথচ বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ওয়াদা ছিল চালের কেজি হবে দশ টাকা। সাধারণ মানুষ দশ টাকা ধরে চাল পাবে।

বর্তমানে খোলাবাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের মূল্য খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৮০টাকায়। দফায় দফায় বাড়ছে চালসহ নিত্য প্রযোজনীয় দ্রব্যের। এসবের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতি সরকারের দ্বায়বদ্ধতার বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে জনজীবনে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা আর দীর্ঘশ্বাস। দ্রব্যমূল্যের আর কতটা উর্ধ্বগতি হলে সরকার এই সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিবেন জিরো টলারেন্স নীতিতে? এই প্রশ্ন সর্বসাধারণের। সাধারণ জনগণ বেশি কিছু চায় না। চায়শুধু মোটা ভাত, মোটা কাপড়ের নিশ্চয়তা। আমাদের দুঃখ দুর্দশার এখানেই শেষ নয় । ঘুষ-দুর্নীতির খড়গ ঝুলে আছে মাথার ওপর। সরকারি কোন অফিস বা দপ্তরে ঘুষ ছাড়া কাঙ্কিত সেবা মিলে না। দেশের প্রায় ৭১ শতাংশ পরিবারকে ঘুষ দিয়ে সরকারের বিভিন্ন খাত থেকে সেবা নিতে হয়।

ঘুষ বান্যিজ্য আজ ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে । কেউ কেউ এই ঘুষকে বলেন স্পীড মানি। কেউ বলেন কাজের শক্তি। ঘুষের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্নীতি,অর্থনৈতিক সংকট, দূরবস্তা, অপরাধ প্রবণতা, উগ্রতা । ঘুষের কারণেই দেশের দ্রব্যমূল্যের দাম হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর নাগাল টেনে ধরা যাচ্ছে না। নড়বড়ে হচ্ছে দেশেরে অর্থনৈতিক ভীত, সামাজিক ও জাতীয় উন্নয়ন কাঠামো, ব্যহত হচ্ছে সরকারে পরিকল্পনা, বাধাগ্রস্থ রাষ্ট্রের উন্নয়ন প্রক্রিয়া। ঘুষ এবং দুনৃীতির কারণে ব্যহত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া, উন্নয়ন, উন্নতি। বৃদ্ধি পাচ্ছে শ্রেণি বৈষম্য। ২০২১ সালে সার্বিকভাবে খানা প্রতি গড়ে ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে মানুষ। একটি সভ্য দেশের ভাষা,সংস্কৃতি, সভ্যতা,মূল্যবোধ আর উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হলো ঘুষ দুর্নীতি। উন্নয়ন ও ঘুষ,দুর্নীতি পাশাপাশি চলতে পারে না। গণতন্ত্র ও ঘুষ, দুর্নীতি পাশাপাশি চলতে পারে না। যে কোন দেশের উন্নয়ণ বলি, গণতন্ত্র বলি, সভ্যতা বলি,সংস্কৃতি বলি, ভাষা বলি,মূল্যবোধ বলি, নৈতিকতা বলি এসবের প্রধান শত্রæ ঘুষও দুর্নীতি। ঘুষ, দুর্নীতি শ্রেণি বৈষম্য এবং আয় বৈষম্য তৈরি করে। দুর্নীতির প্রভাবে দেশের গতিশীল অর্থনীতিতে স্থবিরতা তৈরি হয় । ঘুষ দুর্নীতির মধ্য দিয়ে মানুষের নৈতিক বিপর্যয় ঘটে। মানুষে মানুষে দ্বন্ধ সংঘাত,খুন, ছিনতাই, মাদকাক্ত, ধর্ষণ, কিশোর গ্যাং, নির্যাতন,গুম প্রভৃতি অপরাধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তবে এ কথা ঠিক একটি দেশের সব মানুষ কিন্তু দুর্নীতি পরায়ণ বা দুর্নীতিবাজ নয়। দুর্নীতিবাজদের সংখ্যা খুবই নগন্য। আমরা যখন নিজেদের অপরাধ লুকাতে অন্যের অপরাধকে বড় করে সামনে তুলে ধরি তখন দুর্নীতিবাজরা প্রশ্রয় পায়, ঘুষখোররা উৎসাহিত হয় এবং রাষ্ট্র শক্তির কাছে আশ্রয় খোঁজে। আমাদের উন্নয়নকে গতিশীল এবং ত্বরানিত করতে হলে, দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে ঘুষ ও দুর্নীতি রোধের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে পাচার হচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে পাচার হচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশ থেকে পাচার হওয়া লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ২১ কোটি টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।অর্থপাচার থামছে না। আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অঙ্কটি বড়ই হচ্ছে। গত ১৬ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে অন্তত ১১ লাখ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৬ বছরে যে পরিমাণ অর্থপাচারের কথা বলা হচ্ছে, তা সর্বশেষ দুই অর্থবছরের মোট বাজেটের কাছাকাছি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি এবং আগের অর্থবছরে বাজেট ছিল পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া পাচারের এই অর্থ দেশের বর্তমান জিডিপির ৩১ শতাংশ। বর্তমানে জিডিপির আকার ৩৫৫ বিলিয়ন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার না হলে দেশে বর্তমানে জিডিপির আকার ছাড়িয়ে যেত সাড়ে চার শ বিলিয়ন ডলার।

যারা গরিবের ৫ কেজি আটা এবং ১০ কেজি চালের লোভ সামলাতে পারে না তাদের রাজনীতি ছেড়ে ভিক্ষা করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা । আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই এবং এর সফল বাস্তবায়ন কামনা করছি।

এইভাবে দ্রব্যমূল্যের এমন উর্ধ্বগতি আর নিয়ন্ত্রণ খেলা আমরা চাইনা। আমরা চাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার। বিশ টাকা বৃদ্ধি করে তিন টাকা কমানো এটি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যে পড়ে না। এইভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে অর্থনীতি সঠিক পথে চলতে পারে না এবং দেশের অর্থনীতিও মজবুতভীতের উপর দাঁড়াতে পারে না। বরং এটি জনগণকে শোষণের একটি কৌশলমাত্র। সরকার যদি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধক রতে ব্যর্থ হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে জনগণ এই সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। আমরা চাই সরকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কঠোর হস্তে দমন করবেন এবং চাল নিয়ে সিন্ডিকেটদের চাল নিয়ে যে চালবাজি , তেল নিয়ে তেলবাজি তা বন্ধ করতে সরকার জিরোটলারেন্স নীতি গ্রহণ করবেন। এই কথা আমাদেরকে পরিষ্কার ভাবে বিশ্বাস করতে হবে এবং মনে রাখতে হবে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কোন দলের নয়। যে বেশি সুবিধা দেবার কথা বলবে তার সাথেই হাত মিলিয়ে কাজ করবে।

সিন্ডকেট, কর্পোরেট কালোবাজারী, অবৈধ মজুতদার এবং পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আমাদের মতো একটি দেশের গোটা অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যেতে পারে। উন্নত অর্থনীতির সাথে সাথে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধানে একটি সরকার যদি এই খাদ্য সিন্ডিকেট এবং বাজার কর্পোরেটদের দমন করতে পারেন, তাহলে জনগণ তার নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য রাজপথে নামবেন। আর তা সরকারের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার এবং রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে সর্বময়ক্ষমতা প্রয়োগকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান।

সরকার না চাইলে কোন কিছুই রাষ্ট্রে টিকে থাকতে পারে না। চাল-ডাল. আলু-পটল আদা-রসুন-পেয়াজ, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং পারিপার্শ্বিক প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে সিন্ডিকেটদের চালবাজির কাছে সরকারে সমস্ত অর্জন ভুলন্ঠিত তা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা চাই সরকার আমাদের মতো সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে অতি দ্রুত সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দ্রব্যমূল্যের অনাকাঙ্কিত উর্ধ্বগতি বিরোধী। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সিন্ডিকেটদের কারসাজি, কালোবাজারি, ঘুষ-দুর্নীতি, ঋনখেলাপী, পাচারকারীসহ সকল অপকর্মবিরোধী।বিজয়ের ৫২বছরে এসে ঘুষ-দুর্নীতি, ঋনখেলাপী, পাচারকারীসহ সকল অপকর্মকরীদে ঔদাত্য কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। যদি এরা টিকে থাকে তবে যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করা হবে। যা আমাদের কারোর জন্য শুভকর নয়। আমরা চায় জনগণের আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ সোনার বাংলায় গড়ে উঠবে।

 

সুধীর বরণ মাঝি, শিক্ষক, হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়, হাইমচর, চাঁদপুর।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
ডিবি কার্যালয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হক যশোরে ভোট বর্জনের আহ্বানে বিএনপির লিফলেট বিতরণ নরসিংদীর মাধবদীর মাদক সম্রাজ্ঞী মায়া বেগম ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার, জনমনে স্বস্তি শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যাগে কাপ-পিরিচ প্রতিকের বিশাল মিছিল অবশেষে শুরু হলো রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নির্মাণ কাজ শেরপুরে ৫ আন্তঃজেলা গরু চোর গ্রেপ্তার শ্রীপুরে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু চলন্ত বাসে আগুন, ৮ জনের মৃত্যু ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না আজ আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর বাগেরহাটে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদ করায় হামলা, পিতাসহ আহত-৪ খাগড়াছড়িতে স্বর্ণালঙ্কারের লোভে শাশুড়িকে হত্যা, জামাই গ্রেপ্তার লালমোহনে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য কাউখালীতে মাছ-মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, ৫ জন নিহত যমুনা টিভিতে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে সচেতন এবং সাধারণ শিক্ষক সমাজ ব্যানারে মানববন্ধন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ ও বিভাগ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি  প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে পরিবেশ বান্ধব গাছ উপহার দিলো ঐক্য-বন্ধন