ভিসা নীতি নিয়ে ৭ প্রশ্নের জবাব দিল মার্কিন দূতাবাস

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৪ মে) রাতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক টুইট বার্তায় এ ঘোষণা দেন। ভিসা নীতি ঘোষণার পরপরই এ বিষয়ে কিছু প্রশ্নের জট খোলাসা করেছে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস।

প্রশ্ন: এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার জন্য প্রযোজ্য হবে?

উত্তর: এই নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা, সরকারি সমর্থক এবং বিরোধী দলীয় সদস্যরা রয়েছেন। এই ব্যক্তিদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন: নীতিমালার আওতায় এখন কি কোনও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে?

উত্তর: না। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।

প্রশ্ন: এই ভিসা বিধিনিষেধ কি সরকার বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে?

বিজ্ঞাপন

উত্তর: না, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এই নতুন নীতির অধীনে বিধিনিষেধগুলো এমন আচরণের ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে, যারা সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে।

প্রশ্ন: যাদের ভিসা বাতিল হবে, তাদের কি বিষয়টি অবহিত করা হবে?

উত্তর: যাদের ভিসা বাতিল করা হবে বা হয়েছে তাদের অবহিত করা একটি সাধারণ অনুশীলন।

প্রশ্ন: উচ্চ স্তরের আদেশ অনুসরণ করার পরে যারা অপরাধ করে, তাদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ কীভাবে প্রযোজ্য হবে? উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের আদেশ পালনকারীদের সঙ্গে যুক্ত করা, সেটি যদি কঠিন হয় তবে কী হবে?

উত্তর: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য যারা দায়ী বা জড়িত তাদের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।

প্রশ্ন: গত ১৪ মে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ ঘোষণা দেওয়া হলো কি না?

উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত ৩ মে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেছি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন এত চিন্তিত?

উত্তর: যুক্তরাষ্ট্র সব জায়গায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছে। এই নীতিটি সেই প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার জন্য প্রণীত হয়েছে, যাতে তারা তাদের নেতা বেছে নেওয়ার জন্য নির্বাচন করতে পারে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
যমুনা টিভিতে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে সচেতন এবং সাধারণ শিক্ষক সমাজ ব্যানারে মানববন্ধন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ ও বিভাগ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি  প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে পরিবেশ বান্ধব গাছ উপহার দিলো ঐক্য-বন্ধন ডো‌নাল্ড লুর সফরে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী লালমোহনে জোরপূর্বক জমি দখল পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলায় আহত-৫ আগের মালিক সব্দুলের কাছে ফিরে গেলো পাওয়ার ব্রীকস পায়রা বন্দরের নিজস্ব জেটিতে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ ৪ হাজার ১শত ফ্রি ই-বুক এক্সেস পাবে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা মাটিরাঙ্গায় সাড়া ফেলেছে সার্বজনীন পেনশন স্কিম গোয়ালন্দে পল্লী মঙ্গল কর্মসূচীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত সাত কলেজের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা আগামীকাল বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর শ্রীনগরে উপজলা নির্বাচনে টাকা বিতরণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করায় দুই যুবককে মারধর নরসিংদীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা কাউখালীতে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আসক্তি বাড়ছে পাইকগাছায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অনুমোদন পেল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি নদীর ঢেউয়ে জীবন জড়াচ্ছে বাপ-দাদার পেশায়,শিক্ষা বিমুখ জেলে পল্লীর অধিকাংশ শিশু বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট