ময়মনসিংহের ভালুকায় আ,লীগ এর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও আমেজ বিরাজ করছিল।কিন্তু কোন কারন ছাড়াই সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় সময়ের সাথে সাথে নেতা-কর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন,সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় আমরা প্রচন্ডভাবে কষ্ট পেয়েছি,এখন সম্মেলন ছাড়াই কমিটি ঘোষনা করা হলে অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পরার সম্ভাবনা থাকে।
তিনি আরো বলেন,আমাদের ভালুকা উপজেলার রাজনীতি বিভিন্ন গ্রুপিং এ বিভক্ত,এই গ্রুপিং রাজনীতি বন্ধ করতে হবে,সকলে এক হয়ে আওয়ামীলীগ এর পক্ষে কাজ করতে হবে।
আমরা এমন একজনকে নেতৃত্ব দেখতে চাই যিনি নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক, কর্মীসহ সাধারণ মানুষের সুখে দু:খে পাশে থাকেন।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে ২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট আ,লীগের উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির অনেক নেতা মারা যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে আসছে দলীয় কার্যক্রম। দীর্ঘ ২০ বছর পর ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আবারো ভালুকায় উপজেলা আ,লীগ এর সম্মেলন ভালুকা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্ত সম্মেলনের একদিন আগে ২৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রের নির্দেশে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। এতে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অনেকের মাঝে হতাশা লক্ষ্য করা যায়।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজিমউদ্দিন আহম্মেদ ধনু জানান, গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিন বছর পর পর সম্মেলন হওয়ায় কথা। কিন্তু ভালুকায় ২০ বছর সম্মেলন না হওয়া খুবই দুঃখজনক। আমি চাই, দ্রুত ভালুকা উপজেলাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন হোক।
ভালুকা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা অসুস্থজনিত চিকিৎসার জন্য ভারতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
২০০৩ সালের কমিটির অন্যতম শক্তিশালী সভাপতি প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহ্ মো:আশরাফুল হক জর্জকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে রাজধানী টাইমসকে তিনি বলেন,দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্মেলন হউক এটাই একমাত্র চাওয়া। এদিকে ভালুকায় দলের স্থায়ীভাবে কোন কার্যালয় নেই,তাই আমি চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলায় স্থায়ী দলীয় একটি কার্যালয় হউক।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন না থাকায় ওয়ার্ড,ইউনিয়নে সাংগঠনিক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড,ইউনিয়ন কমিটি করা করা অতীব জরুরি।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন, সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় ভালুকা আ,লীগ সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রায় বিশ বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হবে। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করা হলে সাংগঠনিকভাবে ভালুকায় আ,লীগ শক্তিশালী হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ এর দপ্তর সম্পাদক কাজিম উদ্দিন বলেন,আমাদের নেত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, আমাদের কমিটি টা অনেকদিন যাবত হচ্ছে না,সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের যেন মূল্যায়ন করা হয়।
অপর দিকে দলটি দেশ পরিচালনা করছে তৃতীয় মেয়াদে অনেক নেতাদের পকেট এর অবস্থা উন্নতি হয়েছে অনেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি দলীয় কার্যালয়ের। দলের নামে নেই কোন স্থায়ী কার্যালয়। এ নিয়ে তৃনমলের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। তাই দলীয় নেতাকর্মীরা প্রবীণ ও নতুন নেতৃত্ব দেখতে চায়।