পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপ) জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্টিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।
উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপাশা হোসাইন, ভাঙ্গুড়া প্রেস-ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক গিয়াস উদ্দিন সরদার, অনলাইন প্রেস-ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ বদরুল আলম বিদ্যুৎ, সাংবাদিক বিকাশ কুমার চন্দ্র চন্দ, হেলাল উদ্দিন, আব্দুর রহিম, মঈনুল ইসলাম, রায়হান আলী, মানিক হোসেন, মিনু রহমান খান, শাহেবুল ইসলাম পিপুল,
সিরাজুল ইসলাম আপন, আব্দুল আজিজ ও রাজধানী টাইমস এর পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে লিখিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। জাতির পিতার এ স্বপ্ন পূরণের লক্ষে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘোষণা করেছেন “বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”।
আগামী বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে একযোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে জমিসহ সর্বমোট ২৬,৩৯০টি ঘর প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এ উপলক্ষে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১৫টি সহ পাবনা জেলায় সর্বমোট ৩৪১টি ঘর জমিসহ উপকারভোগীদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হবে। অত্র উপজেলায় নির্মিত ঘরসমূহ উপকারভোগীদের অনুকূলে বুঝিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নামজারি ও কবুলিয়ত দলিল সম্পূর্ণসহ যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রকল্পের আওতায় এখানে ১ম পর্যায়ে ১১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে যার মধ্যে ১টি ঘর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক নির্মিত হয়েছে। ২য় পর্যায়ে ১০টি ও অতিরিক্ত আরোও ১টি ঘর উপজেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে চর-ভাঙ্গুড়াতে ৫টি ঘর এবং বেতুয়ানে আরও ৫টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
অত্র উপজেলায় নির্মিতব্য সর্বমোট ৯০টি ঘরের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৭টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৩টি ঘর প্রয়োজনীয় খাস জমি প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। চর-ভাঙ্গুড়ায় ১.০১ একর খাস জমি নির্বাচন করা হয়েছে। যা গুমানী নদী খনন প্রকল্পের মাটি দ্বারা ভরাট করা হবে।
ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উদ্বোধনের লক্ষে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।