সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাদিয়া খন্দকার মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৯ই ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক ৩ টার দিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের দাবি করা শিক্ষার্থী ও বিতর্কিত ছাত্রলীগ কর্মী (বিবাহিতা) সাদিয়া খন্দকার ও তার বন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নিজেদের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে একটি মহল সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, ঐদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার অভিযুক্তকারি সাদিয়া খন্দকার ও রাকিবুল ইসলাম রাকিব এটি তাদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত ঝামেলা সূত্রে ঘটে।
এ বিষয়ে সাদিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সাদিয়া খন্দকার জানান, কলেজে রাজনৈতিক মাধ্যমে রাকিবের সাথে তার পরিচয় ঘটে। সে মাঝে মধ্যেই আমাকে উত্যক্ত করে। আমার বিষয়ে বলে বেড়াতো তার সাথে আমার সম্পর্ক আছে। এইসব মিথ্যাচার অপ্রচারের কারণ জানতে চাইলেই সে আমার উপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এসময় কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক আশিক জানান, “সাদিয়া আর রাকিবের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের ঘটনা শোনার পর তিনি নিজেই রাকিবের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে তাৎক্ষণিক ছাত্রলীগের একজন অভিভাবক হিসেবে রাকিবকে সতর্ক করেছেন বলে জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে এই বিষয়ে কঠিন হুঁশিয়ার করেন।
তিনি আরো জানান, আমার রাজনৈতিক জীবনে কলঙ্ক লেপে দিয়েছে সাদিয়া খন্দকার। আমি সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা , সমস্যা সমাধান, তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে দায়িত্বের জায়গায় থেকে কাজ করে থাকি। কিন্তু সে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পন্ন বানোয়াট এবং মিথ্যা। আমি এর সুষ্ঠ তদন্তের জুরালো দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি সে কেন এমনটা করে বেড়াচ্ছে কিংবা কার ইন্দ্রনে আমার উপর এমন অভিযোগ তুলেছে এই বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য ব্যাপারে কয়েক জন সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, সাদিয়া খন্দকার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথমে লাইভে এসে কোথায় আশিকুর রহমান নাম উল্লেখ করেনি এবং মামলায় আশিকের নাম উল্লেখ করেনি। এদিকে সিসি টিভির ফুটেজে আশিকের সম্পৃক্ততা দেখা যায়নি। সাদিয়ার একেক সময় একেক তথ্য বিষয়টি ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে কলেজে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে কলেজের একজন ছাত্রলীগ কর্মী জানায়, বহিতাগতরা কলেজে অরাজকতা তৈরি করতে এবং বর্তমান ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে সাদিয়াকে দিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে ।
অভিযুক্তকারী ১২/০৬/২০০২৩ তারিখে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, আমি সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ অনার্স ২য় বর্ষের একজন ছাত্রী। বিবাদী ১। মোঃ রাকিবুল হাসান রাকিব (২২), পিতা- অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, বর্তমান সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে অধ্যয়নরত। আমি একই কলেজে পড়াশুনা করায় বিবাদী মোঃ রাকিবুল হাসান রাকিবকে চিনি। উক্ত বিবাদী প্রায় সময় কলেজে আমাকে বিরক্ত করিত।
০৯/০২/২০২৩ তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৩.৩০ ঘটিকার সময় সূত্রাপুর থানাধীন সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এর ছাত্র সংসদের সামনে বিবাদীকে আমি জিজ্ঞাসা করি যে, আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়াও কেন ? সে তখন পূর্বের মত আমাকে উত্তক্ত করার জন্য অশ্লীল কথা বলে এবং যৌনকমনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আমার উড়না ধরে টান দেয় এবং আমার বুকের স্পর্শকাথর স্থানে হাত দিয়ে আমার শ্রীলতান হানী করে। আমি তাহাকে ধাক্কা দিলে বিবাদী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিলঘুষি মারিয়া মাথা ও শরীরের অন্যান্য স্থান সহ জখম প্রাপ্ত করে বিবাদীর সাথে থাকা অন্যান্য অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বিবাদীরা আমাকে মারধর করে মাঠিতে ফেলে দেয়। আমার ডাক চিকিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে উদ্ধার করে। আমার চিকিৎসার জন্য আমাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হৃসপাতাল, ঢাকায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রদান করে। সাদিয়া প্রাথমিক চিকিৎসার শেষ করিয়া সূত্রাপুর থানায় আসিয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন।