বিএনপি মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ক্ষমতার জন্য নয় বরং এ দেশের মানুষ যেন তাদের অধিকার ফিরে পায়, ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পায় সেজন্য রাজনীতি করে।
রোববার বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা হেফাজতে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান হিরা খানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নিয়েছেন।এ সময় হিরার পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
পরে ড. আব্দুল মঈন খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, সবাই বলছেন ৭ জানুয়ারি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। সরকার তা মেনে নিতে নারাজ। ক্ষমতাসীনরা বলছেন, বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা ক্ষমতায় এসেছেন। তাদের কথায়ই প্রতীয়মান হয়, জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসেননি। তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সহযোগিতায় আমরা এ দেশ অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীন করতে পেরেছে। আজকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেও আমরা বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করছি।মঈন খান বলেন, সরকারের অনেক কথাতেই প্রমাণ হয়েছে তারা নির্বাচনের নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছে। আজকে যারা এ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে সহযোগিতা করেছে তারা কি দেশের মঙ্গলের জন্য করেছেন? নাকি জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য করেছেন?
সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে মেগা প্রকল্প হয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে। সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট নিদিষ্ট একটি গোষ্ঠী লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। যার দায় দেনা এই দেশের দরিদ্র মানুষের ওপর পড়ছে। তাহলে এই সরকার কীভাবে জনগণের সরকার হলো?
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ওমর ফারুক সাফিন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির, সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুল আলম মাষ্টার, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ সরকার সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান হিরা খান (৪৫) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের মৃত গিয়াসউদ্দিন খানের ছেলে। তিনি কাওরাইদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত ১ ডিসেম্বর শুক্রবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ বন্দী থাকা অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর আগে অক্টোবর মাসে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাবেশ থেকে ফেরার পথে শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা-পুলিশ। ২৯ অক্টোবর শ্রীপুর থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে প্রথমে গাজীপুর জেলা কারাগারে ও পরবর্তীতে ১০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ নেওয়া হয়।