দিনাজপুরে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ও প্রতারক চক্রের ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত টিআরসি পরীক্ষার ছয়টি অ্যাডমিট কার্ড, ৯টি ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি ফাঁকা চেক, একটি মাইক্রোবাস ও ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, দিনাজপুরে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে শহীদুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর সন্দেহজনক আচরণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায় তার নাম তারেক রহমান। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্যদের আটক করা হয়।
তিনি আরোও জানান, নিয়োগ জালিয়াতি চক্রটি বিভিন্ন জেলায় তাদের এজেন্টের মাধ্যমে শারীরিক যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণদের টার্গেট করে আবেদনের আগেই ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে রাখত। পরে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর প্রার্থীরা শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাঠ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ভুয়া পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে তাদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হতো। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে চুক্তি অনুযায়ী আর্থিক লেনদেন করত চক্রটি। বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ ১৭ জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার আব্দুল কুদ্দুস, নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার মিশকাতুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রোকনুজ্জামান, পজিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম রিপন, মোহসিন আলম, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার নাহিদ ইউসুফ, শাহরিয়ার সরকার, রাজা মিয়া, রংপুর সদর উপজেলার মিস্টার রহমান, গঙ্গাচড়া উপজেলার মোহাইমিনুল, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মিজানুর রহমানসহ ১৭ জন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল-মামুন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুরে পুলিশের টিআরসি নিয়োগ পরীক্ষায় দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রায় চার হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। প্রাথমিক ও শারীরিক বাছাইয়ের পর ১ হাজার ২৯ জন লিখিত পরীক্ষা দেন। এর মধ্যে ১৪৪ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন।