ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে রাতের আধাঁরে ১০ লক্ষ টাকার মাটি চুরির ঘটনার মামলায় পুলিশের এস আই সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলায় ৮জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে সংশ্লিষ্ট আদালত।
উপজেলার জিনদপুর গ্রামের হাসান উদ্দিন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৮৬/২৩(নবীনগর) নং মামলাটি দায়ের করেন। এতে আসামিরা হলেন কড়ইবাড়ি গ্রামের সোহেল মিয়া ও সগির মিয়া, জিনদপুর গ্রামের মামুন মিয়া,আল-আমিন,জসিম, জয়নাল মিয়া,নজরুল মিয়া, নবীনগর পৌরসভার কলেজপাড়ার ক খ ম হরযত আলী এবং নবীনগর থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি শুনানি শেষে পুলিশ ছাড়া বাকী সব আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আগামী ২ মে স্বশরীলে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ প্রদান করে।
মামলা সূত্রে জানা যায় নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের জিনদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাদীর ভিটি বাড়ি ও নাল শ্রেণির ভূমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর ট্রলির মাধ্যমে রাতের আধাঁরে ১০ লক্ষ টাকা মাটি সহ একটি একচালা টিনের ঘর আসামিরা চুরি করে নিয়ে যায়।থানা পুলিশ কে চুরির ঘটনাটি অবগত করলে নবীনগর থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চুর ও মাটির চুরির সকল সরঞ্জাম পেয়েও অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে চলে আসে।
এবিষয়ে হুরুয়ার সাবেক মেম্বার ও যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন জানান,২৪ ফেব্রুয়ারী রাতের আধাঁরে হাসান উদ্দিনের ৮/১০ লক্ষ টাকার মাটি চুরির করে নিয়ে গিয়েছে সোহেল, মামুন,ছগির গংরা।আমরা সকালে গিয়ে তাদের দেখতে পায় মাটি নিয়ে যাচ্ছে এবং পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে তাদের না আটকিয়ে ছেড়ে চলে যায়।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগ নেতা শিহাব উদ্দিন,বাদল সরকার,আতিক মিয়া জানান,দীর্ঘদিন ধরে মামুন,সোহেল,ছগির,জয়নাল,নজরুল গংরা হাসান উদ্দিনের নিকট বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসতে ছিল,চাঁদা না পেয়ে তারা রাতের আধাঁরে ১০ লক্ষ টাকার মাটি চুরি করে নিয়ে যায়,পুলিশ আমাদের সামনে তাদের চুরির সময় হাতেনাতে পেয়ে কি আলাপ আলোচনা করে ছেড়ে চলে যায়।
এবিষয়ে মামলার বাদী হাসান উদ্দিন জানান,চিকিৎসার জন্য ঢাকা চলে যাওয়ার সুযোগে তারা আমার ১০ লক্ষ টাকার মাটি চুরি করে নিয়ে গেলে খবর পেয়ে আমি পুলিশ কে বারবার ফোন করে সহযোগিতা না পেয়ে সহকারী কমিশনার ভূমির হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েও ভেকু মেশিন, ট্রলি দেখতে পেয়েও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি নবীনগর থানার এস আই জাহাঙ্গীর,আমি ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা করেছি।
এবিষয়ে মাটি চুরি করে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সোহেল মিয়া জানান,আমরা মাটি চুরি করি নাই নিলামে ক্রয় করা মাটি নিয়ে গিয়েছি।
এবিষয়ে সরজমিনে গিয়ে মামলার আসামি হওয়া নবীনগর থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি কাউকে পায়নি।
এবিষয়ে নবীনগর সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা জাহান জানান,ঘটনার দিন আমি কাউকে মাটি নিতে আদেশ করিনি,আমার নাম ভাঙ্গিয়ে মাটি চুরির খবর শুনে পুলিশ কে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি