মতলব উত্তর উপজেলার পুটিয়ারপাড় গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার জামায়াত নিয়ে ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
জানা যায়, পুটিয়ারপাড় গ্রামের শহীদ উল্লাহর ছেলে আক্তার হোসেন একই গ্রামের ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলাম যাতে ঈদের নামাজ পড়াতে না পারে সেজন্য তার বিরুদ্ধে গত ৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইমাম আমিনুল ইসলাম বিগত ঈদের নামাজ আদায়ের পুর্বে পবিত্র কোরআন ও হাদিস বহির্ভূত এবং বেফাঁস বক্তব্যে দিয়েছেন। তিনি নিজের মনগড়া ফতুয়া বয়ান করে থাকেন।
এবস্থায় যদি মাওলানা আমিনুল ইসলাম আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজে ইমামতি করে তাহলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ শান্তি ভঙ্গের আশংকা করা যাচ্ছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ারটেকার আফজাল হোসেন খানকে দায়িত্ব দেন।
৭ জুলাই বিকেলে সরেজমিনে আফজাল হোসেন গেলে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। ইমাম আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পত্র উপস্থিত প্রায় ৪ শতাদিক মুসুল্লিদের মাঝে পাঠ করে শোনান। পরে অভিযোগের জবাব চাইলে বাদী আক্তার হোসেন ও পক্ষের লোকজন অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ দিতে পাড়েননি।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুসুল্লি আরিফুল ইসলাম খোকা ও সমাজ সেবক ও মুসুল্লি বলেন, প্রায় দুইশ বছর ধরে ৬ টি সমাজের লোক এক সাথে ঈদের নামাজ পড়ি। সেটি বানচাল করার জন্য মুস্টিমেয় কিছু লোক সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
সমাজ সেবক ও মুসুল্লি জসিম উদ্দিন বলেন, আগে যেভাবে সবাই মিলে ঈদের নামাজ আদায় করছি একনও সেভাবেই আদয় করতে চাই।
ইউপি সদস্য আয়ুুব আলী বলেন, অভিযোগকারী একজন দুষ্টু প্রকৃতির লোক। সে অন্য কারো প্রবঞ্চনাময় পড়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তারা আমার সাথে নির্বাচন করে হেরেছে। মাওলানা আমিনুল ইসলাম আমার ভাই হওয়ায় আর নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
এবিষয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুবায়ের আজিম পাঠান স্বপন বলেন, আমি খবর নিয়ে দেখেছি সারা গ্রামের মানুষ এক আছে এবং এক সাথে ঈদের নামাজ পড়তে চায়। মাত্র কয়েকটি পরিবার একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে