পাবনায় ফসলি জমিতে মাটি কাটার হিড়িক

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

পাবনা সদর, চাটমোহর, আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি থেকে অনুমোদন ছাড়াই মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। দিনে এবং রাতে ভেকু (এস্কেভেটর) মেশিন দিয়ে জমি খনন করে সেই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে এলাকার কয়েকটি ইটের ভাটায়। মাটিকাটা ও মাটি অনত্র্য নেওয়ার কারণে ব্যবহৃত ট্রলি ও মিনি ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা। সেই সাথে গ্রামীণ সড়কগুলো ধুলাবালি ও কাদামাটিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার মানুষ হচ্ছে পরিবেশ দূষণ।

গতকাল সোমবার দুপুরে চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর মৌজার কুজোর মোড় থেকে বিন্যাবাড়ি অভিমুখী সড়কের দক্ষিণ পাশে গিয়ে মাটি কাটার চিত্র চোখে পড়ে। এই স্থানে অনুমোদন ছাড়াই ভেকু মেশিন (এস্কেভেটর) দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে গত তিনদিন ধরে। পরে কেটে নেওয়া মাটি কয়েকটি মিনি ট্রাকে করে নেওয়া হয় পাশেরই একটি ইটের ভাটায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমত আলী নামের এক ব্যবসায়ী অনুমোদন ছাড়াই ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন।

বিজ্ঞাপন

একই উপজেলার বোয়াইলমারী, সোনাহার পাড়াসহ বিভিন্ন মাঠ থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি কেটে বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে। গত শনিবার বিকেলে চিরইল বিলের একটি জমি খনন শুরু করেন বেসরকারি সংস্থা পিসিডির পরিচালক শফিকুল ইসলাম। পরে ওই এলাকার কৃষকরা অভিযোগ জানালে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউনএনও।

এছাড়া সদর উপজেলার চরতারাপুর, দোগাছি, মালঞ্চি এবং আটঘরিয়া উপজেলার ধলেশ্বর, সঞ্জয়পুর, অভিরামপুর, মাজপাড়া, শ্রীকান্তপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।

এসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফসলি জমির মালিকরা স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি করে মাটি বিক্রি করছেন। মাটি বহনকারী বিভিন্ন যানবাহনের দাপটে রাস্তাগুলোর ক্ষতি হচ্ছে। পাশিপাশি মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিক্রেতারা প্রতি পাওয়ার ট্রিলার মাটি বিক্রি করছেন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। প্রতি মিনি ট্রাক ভর্তি মাটি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৫০০-২০০০ হাজার টাকায়। মাটি বহন করার সময় এসব গাড়ির কারণে আশপাশের জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের জানালে তারা কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার শুরু হয় মাটি খননের কাজ।

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা খাতুন জানান, ‘ফসলি জমির মাটি খননের খবর পেলেই আমরা তা বন্ধ করে দেই। এখনো মাটি খনন চলছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন জানান, ‘অনুমোদন ছাড়া ফসলি জমির মাটি খনন ও বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। যারা করছেন তারা অনুমোদন না নিয়ে গোপনে করে থাকতে পারেন। প্রশাসনের তরফ থেকে যেখানেই অভিযোগ আসছে সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, ৫ জন নিহত যমুনা টিভিতে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে সচেতন এবং সাধারণ শিক্ষক সমাজ ব্যানারে মানববন্ধন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ ও বিভাগ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি  প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে পরিবেশ বান্ধব গাছ উপহার দিলো ঐক্য-বন্ধন ডো‌নাল্ড লুর সফরে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী লালমোহনে জোরপূর্বক জমি দখল পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলায় আহত-৫ আগের মালিক সব্দুলের কাছে ফিরে গেলো পাওয়ার ব্রীকস পায়রা বন্দরের নিজস্ব জেটিতে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ ৪ হাজার ১শত ফ্রি ই-বুক এক্সেস পাবে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা মাটিরাঙ্গায় সাড়া ফেলেছে সার্বজনীন পেনশন স্কিম গোয়ালন্দে পল্লী মঙ্গল কর্মসূচীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত সাত কলেজের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা আগামীকাল বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর শ্রীনগরে উপজলা নির্বাচনে টাকা বিতরণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করায় দুই যুবককে মারধর নরসিংদীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা কাউখালীতে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আসক্তি বাড়ছে পাইকগাছায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অনুমোদন পেল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি নদীর ঢেউয়ে জীবন জড়াচ্ছে বাপ-দাদার পেশায়,শিক্ষা বিমুখ জেলে পল্লীর অধিকাংশ শিশু