গাজীপুরে শ্রমিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক সহিংসতায় গত ৪০ দিনে ৩১টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস,ট্রাক,পিকআপ ও ব্যক্তিগত গাড়িও রয়েছে।
এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন চালক ও সহযোগী। এ ছাড়াও ভাঙচুর হয়েছে বেশকিছু যানবাহন। সর্বশেষ বুধবার (৬ ডিসেম্ব) সকালে গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের বাড়ইপাড়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস ও কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বড়পুশিয়া চৌরাস্তায় একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ দিনে ১৮টি যাত্রীবাহী বাস, ১৪টি ট্রাক, পিকআপ ৭টি ও ১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও শ্রমিক আন্দোলনে পুড়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এসব যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশ যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কখনও চোরাগোপ্তা ও যাত্রীবেশে গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়েছে। তবে প্রত্যক্ষভাবে গড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে ২৮ অক্টোবর রাতে মহানগরীর কোনাবাড়ীতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর ২৯ অক্টোবর বিআরটিসির বাস ও ট্রাকে, ১ নভেম্বর দুটি বাস, ৫ নভেম্বর সিএনজিতে, ৬ নভেম্বর বাসে, ৭ নভেম্বর বাসে, ৮ নভেম্বর কাভার্ড ভ্যানে, ৮ নভেম্বর বাসে, ৯ নভেম্বর কাভার্ড ভ্যানে, ১১ নভেম্বর চলন্ত ট্রাকে, ১২ নভেম্বর ট্রাক ও পিকআপে, ১৬ নভেম্বর দুটি বাসে, ১৯ নভেম্বর দূরপাল্লার বাসে, ২০ নভেম্বর সিমেন্টবাহী ট্রাকে, ২৩ নভেম্বর দুটি কাভার্ড ভ্যানে, ২৮ নভেম্বর ট্রাকে, ২৯ নভেম্বর যাত্রীবাহী বাসে, ৩০ নভেম্বর দুটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি যাত্রীবাহী বাস, ৩ ডিসেম্বর ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস, ৪ ডিসেম্বর যাত্রীবাহী বাস ও একটি খড়ভর্তি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘চোরাগোপ্তাভাবে কিছু দুর্বৃত্ত যানবাহনে আগুন দিচ্ছে।
তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘অধিকাংশ যানবাহনে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে করি। কখনও কখনও ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেন।