রাজশাহীর তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের নির্দেশ লঙ্ঘন, সরকারি খালের পানি প্রবাহের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, এক সনাতন ধর্মালম্বীর বসতঘর হুমকিতে ফেলে ও খাল জবরদখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তানোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড গোল্লাপাড়া বাজার আস্তুল মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গত ২৭ আগষ্ট শনিবার প্রায় শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পৌর মেয়রকে দেয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌর মেয়র ইমরুল হক ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্ত্ত গত ৫ অক্টোবর আবুল সোনার ফের সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছেন। এঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, যেকোনো সময় খুন-জখম বা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, তালন্দ গ্রামের আবুল সোনার সনাতন ধর্মালম্বী হারু দাসের একমাত্র সম্বল বসতঘর হুমকিতে ফেলে ও ব্রীজের মুখ দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হারু দাসের পরিবার নির্মাণ কাজে বাধা দিলে আবুল সোনার তাদের হুমকি দিয়ে বলেন, তোরা বেশী বাড়াবাড়ি করলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে ভারত পাঠিয়ে দিবো। এমনকি হারুকে হত্যার উদ্দেশ্য লোহার সাবল নিয়ে ধাওয়া করে আবুল।
এ ঘটনায় সনাতন ধর্মালম্বী হারুর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। অসহায় হারু পরিবার ভারতীয় হাইকমিশনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তানোর পৌর যুবলীগের সম্পাদক ওহাব সরদার বলেন, ব্রীজের মুখ জবরদখল করে এই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে অসহায় হারু দাসের বসতঘর ভেঙ্গে পড়বে, পাশাপাশি কয়েক গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হবে। তিনি বলেন, তারা গ্রামবাসি বাধা দিয়েছেন, তার পরেও রাঁতের আঁধারে আবুল সোনার কাজ করছে।
এবিষয়ে তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, ব্রীজের মুখ দখল করে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নাই।তিনি বলেন, আমরা তাকে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে আবুল সোনার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার জায়গায় তিনি ঘর করছেন, এতে গ্রামবাসির সমস্যা হলে তার করনীয় কি ?
তিনি বলেন, তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে এলে পরিনিতি খারাপ হবে, সে যেই হোক। এবিষয়ে হারু চন্দ্র দাস বলেন, ব্রীজের মুখ খুলে না দিলে তার একমাত্র সম্বল বসতঘর ভেঙ্গে পড়বে, এতে তাকে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।