রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নে (ইউপি) ইলামদহী মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর
নলকুপ অপারেটর রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সেচ চার্জের নামে কৃষকের কাছে থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছ।
পাঁচন্দর ইউপির জেল নম্বর ৯৩, ইলামদহী মৌজার ২১৫ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর রুহুল আমিন। স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর রুহুল আমিন ইউপি চেয়ারম্যানের প্রভাব বিস্তার ও কৃষকদের জিম্মি করে সেচ চার্জ আদায়ের নামে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছে।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বুধবার অপারেটরের অপসারণ, স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার দাবিতে স্থানীয় সাংসদ, বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্কীমভুক্ত কৃষকের আপত্তি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে রুহুল আমিন অপারেটর হবার পর থেকে কৃষকদের হয়রানী- দুর্ভোগ বেড়েছে। তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের দাপট দেখিয়ে ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি নানা অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করছেন।
এছাড়াও তিনি গভীর নলকূপের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব কাউকে দেন না। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার করা হোক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কীমের একাধিক কৃষক বলেন,এই গভীর নলকুপে প্রায় দুশ’বিঘা আলু চাষ হচ্ছে। প্রতি বিঘায় সেচ চার্জ হিসেবে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। তারা বলেন, উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বিঘায় সেচ চার্জ এক হাজার টাকা করা হয়েছে। তারা আরো বলেন, রুহুল প্রায় লাখ টাকা খরচ করে অপারেটর হয়ে, এখন সেই টাকা কৃষকের কাছে থেকে আদায় করছেন। কেউ চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর রুহুল আমিন বলেন, কৃষকের অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি আরো বলেন, কয়েকবার ট্রান্সফরমার পুড়েছে, এছাড়াও ড্রেন মেরামতসহ নানা কাজে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকের মতামত নিয়েই প্রতি বিঘায় সেচ চার্জ ৩ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে।
এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগ ও সমিতি গঠনের ব্যবস্থা করা হবে।