টেকনাফ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হোয়াইক্যং গরুর হাট বাজার ঘুড়ে দেখা যায় ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি সাইজের দেশীয় গরু । বাজার ঘুড়ে দেখা য়ায় অন্য বাজারের তুলনায় এই বাজারের গরু-ছাগলের দাম স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতারা উভয়েই বলেছেন, আগামী হাট থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত হাটগুলোতে কেনা-বেচা বেশি হবে। তাদের প্রত্যাশা ওই হাটে বেচাকেনা আরও ভালো হবে।
পবিত্র ঈদুল আযাহা কে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে হোয়াইক্যং বাজার গরু, মহিষ ও ছাগলের হাট।
প্রতিবারের ন্যায় বছর ঘুরে ঘনিয়ে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা । ঈদকে ঘিরে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে প্রচুর গরু ও ছাগল নিয়ে হাটে ভিড় করছে বিক্রেতারা।
সোমবার (০৪জুলাই) হোয়াইক্যং পশুর হাটে ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও তেমন বিক্রি বাড়েনি উপজেলার বিভিন্ন হাটগুলোতে।
হাটের নিজস্ব জায়গা না থাকায়, কয়েকটি ইউনিয়নে কুরবানীর পশুর হাট বাজারের নিকটতম খেলার মাঠে ও খুলা জায়গায় করা হয়েছে, হাটে গরু, মহিষ,ছাগল সব দেশি জাতের।
হোয়াইক্যং হাটে গরু বিক্রয় করতে আসা মোঃ মাহবু সাওদাগর বলেন,,আমি ১২ টা গরু নিয়ে শাপলাপুর থেকে হোয়াইক্যং বাজারে এসেছি,সকাল থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত ৫ টা গরু বিক্রি করি,,ক্রেতারা গরু দেখে দেখে চলে যায়,,যা বিক্রি করেছি আলহামদুলিল্লাহ।
হোয়াইক্যং হাটে গরু বিক্রয় করতে আসা মোঃ ছৈয়দ এর সাথে কথা বলে জানা যায় , তিনি ৩৫ টি গরু নিয়ে বাজারে আসেন, ক্রেতারা গরু কিনতে এসে অনেক দামাদামি করে, তার মধ্যে আমাদের চাহিদা মত আমরা গরু বিক্রি করতে পারছি না,সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাত্র ৬ টি গরু বিক্রি করি।
হাটের আরও বেশকিছু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ আরো কয়েক দিন বাকি আছে, তাই কুরবানির পশুর হাটে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল উঠলেও বেচা-কেনা তেমন চোখে পড়ার মত নয়।
হাট ঘুরে আরও জানা যায়, গরু পালন করতে ইদানীং খরচের পরিমাণ অনেক বাড়তি হয়েছে, তাই কম দামে গরু বিক্রি করলে পালনকারীর মুনাফা আসবেনা। কুরবানির পশুর হাটে গরু-ছাগলের দামে অধিকাংশ ক্রেতারা সন্তুষ্ট।
এইদিকে টেকনাফ উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে হোয়াইক্যং বাজারে কোরবানী পশু জবাই ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনা করা হয় এবং কোরবানীর জন্য রোগা গরু বিক্রি করছে কিনা তা তদারিক করা হয়।
হোয়াইক্যং হাটের ইজারাদার মোঃ হারুন উর রশীদ বলেন,হোয়াইক্যং কুরবানির পশুর হাটের বাজার উন্নত মানের করা হয়েছে,এই বছর বাহির থেকে কোন গরু মহিষ আসে নাই, সব দেশি গরু মহিষ ও ছাগল।
কুরবানির হাট বাজারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও রয়েছে, হাট বাজারে সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সার্বক্ষনিক হাট বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
আগামী হাটগুলো থেকে আশা করছি পর্যাপ্ত গরু বিক্রি হবে। এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি আছে। বিক্রির মূল্য সময় এখনো আসেনি।