জিয়াউর রহমান দেশে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সংসদের পথচলা বার বার হোঁচট খেয়েছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংসদ বাতিল করা হয়েছিল এবং সংসদীয় গণতন্ত্র বাতিল করে তখন সামরিকতন্ত্র চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনের পর প্রকৃতপক্ষে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল। ওই নির্বাচনের পর যে ব্যক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল, যে ব্যক্তি পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে বক্তব্য রেখেছে- ‘তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কোন গণহত্যা হচ্ছে না, ভারতীয় চররা, ভারতের দোসররা কিছু গন্ডগোল করছে মাত্র’। এই ব্যক্তিকে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়েছিল।”

জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ৭ এপ্রিল আনীত এক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ১৯৮৮ সালে প্রধান দলগুলোবিহীন একটি নির্বাচন করে তখন আ স ম রব সাহেবকে গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে সংসদকে হাস্যকর স্থানে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া ভোটাবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্ণেল রশীদকে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল।

এই সংসদে বিভিন্ন সময় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছে, যেভাবে সংসদের মাইক, খাতাপত্র, বইপত্র ছুঁড়েছে, এতেও সংসদের মানমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো ২০০৭ সালে এই সংসদের স্পিকারের বাসভবন, চিফ হুইপের বাসভবনকে কারাগারে রূপান্তর করা হয়েছে এবং এই সংসদে জননেত্রী শে হাসিনা যিনি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁর বিচারের জন্য এখানে আদালত বসানো হয়েছে। একই সাথে বেগম খালেদা জিয়া যিনি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিচারের জন্যও এখানে আদালত বসানো হয়েছে।

এভাবে এই সংসদ চত্ত্বরকে, সংসদকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল। এটি স্পষ্টত সংসদকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করার জন্য, গণতন্ত্রকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা শহরে এতো জায়গা থাকা সত্বেও এখানে আদালত বসানো হয়েছিল এবং এখানে কারাগার বানানো হয়েছিল। সেই কাজটি যারা করেছিলেন, তারা দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে বলতে চাই- যারা এই কাজটি করেছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন কিনা, সেটি ভেবে দেখা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। গণতন্ত্রের পথচলা যদি মশৃণ না হয়, উন্নয়ন কখনো হয় না। গণতন্ত্রের নামে কসমেটিক সার্জারি হয়। যখন সংসদীয় গণতন্ত্র ছিল না, মার্শাল ডেমোক্রেসী ছিল, কখন কসমেটিক সার্জারির মতো উন্নয়ন হয়েছিল।

প্রকৃত উন্নয়ন তখন হয়নি। গত তিনটি সংসদে নিরবিচ্ছন্নভাবে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু থাকার প্রেক্ষিতে, সংসদে জবাবদিহিতা থাকার প্রেক্ষিতে দেশে উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে নির্বাচনের পর যখন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা ছিল, তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি উপস্থাপন করেছিলেন। সেই দাবি নিয়ে অনেক তালবাহানা হয়েছিল, বিএনপি এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা বেগম খালেদা জিয়া এতে রাজি ছিরৈন না।

অনেক তালবাহানার পর শেখ হাসিনার সহযোগিতার মাধ্যমে তৎকালীন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের ভোট দানের মাধ্যমে আসরা আবার সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে এসেছিলাম।

 

সূত্র: বাসস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, ৫ জন নিহত যমুনা টিভিতে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে সচেতন এবং সাধারণ শিক্ষক সমাজ ব্যানারে মানববন্ধন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ ও বিভাগ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি  প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে পরিবেশ বান্ধব গাছ উপহার দিলো ঐক্য-বন্ধন ডো‌নাল্ড লুর সফরে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী লালমোহনে জোরপূর্বক জমি দখল পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলায় আহত-৫ আগের মালিক সব্দুলের কাছে ফিরে গেলো পাওয়ার ব্রীকস পায়রা বন্দরের নিজস্ব জেটিতে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ ৪ হাজার ১শত ফ্রি ই-বুক এক্সেস পাবে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা মাটিরাঙ্গায় সাড়া ফেলেছে সার্বজনীন পেনশন স্কিম গোয়ালন্দে পল্লী মঙ্গল কর্মসূচীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত সাত কলেজের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা আগামীকাল বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর শ্রীনগরে উপজলা নির্বাচনে টাকা বিতরণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করায় দুই যুবককে মারধর নরসিংদীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা কাউখালীতে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আসক্তি বাড়ছে পাইকগাছায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অনুমোদন পেল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি নদীর ঢেউয়ে জীবন জড়াচ্ছে বাপ-দাদার পেশায়,শিক্ষা বিমুখ জেলে পল্লীর অধিকাংশ শিশু