জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিযে স্বপ্নের “পদ্মা সেতু” উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ খবরে আনন্দে ভাসছে সাগরপাড়ের উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীসহ দক্ষিনাঞ্চল।
“পদ্মা সেতু” আর স্বপ্ন নয়, এখন দৃশ্যমান। ২৫ জুন শনিবার জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দক্ষিনবঙ্গের কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের “পদ্ম সেতু”উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বৃহত্তম দীর্ঘতম ব্যয়বহুল অত্যাধুনিক “পদ্মা সেতু” চালু হওয়াকে কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে আনন্দ উলস্নাস যেমন তেমনি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন পটুয়াখালীসহ দক্ষিনবঙ্গের মানুষেরা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থাই সহজ করবেনা, বরং আত্ম কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে লাখ লাখ মানুষের।
পদ্মা সেতু উদ্ধোধনের ফলে যাত্রা পথে ফেরী’র বিরম্বনা, ভোগান্ত্মি, দুর্ভোগ ভোগান্ত্মিসহ দূরত্ব কমবে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের। রাজধাণী ঢ়াকা থেকে ফেরিবিহীন নিরবিচ্ছন্ন সড়ক পথের যোগাযোগের এক মহাঅধ্যায়ের সূচনা হবে এবং নদীপথে ভোগান্ত্মি কমবে লঞ্চ যাত্রীদের। সড়ক পথে পণ্যবাহী মালামাল আনা-নেয়ায় খরচ যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি অল্প সময় নির্দিষ্ট গন্ত্মব্য স্থানে পৌছে যাবে।
সেতুটি চালু হলে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে খালাস হওয়া পণ্য খুব সহজেই পৌঁছে যাবে ঢাকা সহ সারাদেশে। পটুয়াখালীসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠবে শিল্প-কলকারখানা। এ সেতুকে কেন্দ্র করে সাগর সৈকত সৌন্দের্যের লিলাভ্থমি কুয়াকাটার পর্যটকদের জন্য চালু হচ্ছে ভিআইপি বাস সার্ভিস। স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারায় পর্যটক বাড়বে কুয়াকাটা সৈকতে। সমৃদ্ধ হবে ব্যবসা-বানিজ্যে। এসব কারণে বিনিয়োগকারীদের নজর এখন দক্ষিণাঞ্চলের দিকে। তাই আনন্দেন জোয়ারে ভাসছে এখানকার মানুষ। সেতুটি চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সরাসরি সড়ক পথের সংযোগ স্থাপন হবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা আসতে সময় লাগবে মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘন্টা।
স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারায় পর্যটক বাড়বে কুয়াকাটা পর্যটকদের পদচারণা। পায়রা সমুদ্র বন্দর ঘিরে শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার পাশাপশি ব্যবসা-বানিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। হবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। ব্যস্ত্মতম বন্দর হবে পায়রা সমুদ্র বন্দর। কৃষি উৎপাদনেও আমূল পরিবর্তনের অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে এখানকার মৌসুমী ফল তরমুজ এবং মুগডাল উদপাদনে বৈপস্নবী পরিবর্তন ঘটবে। কম খরচে এখন বাজারজাত করতে পারবে কৃষকরা। যার কারণে অর্থণীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে এ প্মা সেতু।
এক কথায় কৃষি,শিল্প,পর্যটন,শিক্ষা,স্বাস্থ্য চিকিৎসা,অর্থনীতিসহ প্রতিটা ক্ষেত্রেই স্বপ্নের পদ্মাসেতু এক বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশিস্নস্ট উদ্যোক্তরা ও ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিনাঞ্চল উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করবে এবং দেশে অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ ঘটবে, যা কল্পনার বাহিরে। এক কথায় দেশ হবে উন্নততর থেকে উন্নত। সর্বশেষ “পদ্ম সেতু” বাংলাদেশের সÿমতার স্মারক। পদ্ম সেতু উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বপ্নে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংস্থা উৎসবের নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। কর্মসূচী সমূহের মধ্যে অন্যতম রয়েছে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন পুকুরে পদ্মা সেতুর আদলে ৩০০ ফুট দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মান, ২৪. ২৫ ও ২৬ জুন ৩দিনব্যাপী শেখ রাসেল শিশু পার্ক সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরে নামি-দামী শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হবে উন্মুক্ত কনসার্ট উৎসব। গুরম্নত্বপুর্ণ সড়ক ও স্থাপনা সমূহে আলোকস্বজ্জায় সজ্জিত করন।