রাজধানীর হোসেনি দালানে আশুরায় তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে বুধবার (২৬ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি সকল রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা সমাবেশ করেন; কিন্তু জনগণকে কষ্ট না দিয়ে। জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে ভবিষ্যতে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।’
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’
সাংবাদিকরা দেশের প্রধান দুই দলের বৃহস্পতিবারের কর্মসূচির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডিএমপি কমিশনার জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নটি দল আবেদন করেছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে কয়েকটি দলকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
এদিকে, সরকার পতনের ‘এক দফা’ আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গত ১৮ ও ১৯ জুলাই ঢাকাজুড়ে পদযাত্রা করে। জবাবে ওই দুই দিনই ঢাকায় শান্তি শোভাযাত্রা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুদলের কর্মসূচির ফলে ওই দুই দিন যানজটে নাকাল হতে হয়েছে নগরবাসীকে।
ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকায় মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। যদিও সমাবেশের স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিপরীতে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগও একইদিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেইটে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
গত ১৮ ও ১৯ জুলাইয়ের পদযাত্রা-শোভাযাত্রায় যানজটের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে দুদলের কর্মসূচির ফলে আবারও জনমনে ভোগান্তির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, ওয়ার্কিং ডেতে বিশাল বিশাল জনসভা করে লাখ লাখ লোককে রাস্তায় আটকে রাখার মতো বিষয়গুলো যেন তারা বিবেচনা করে। ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডে বাদ দিয়ে বন্ধের দিনগুলোতে কর্মসূচি নেয়ার পরামর্শ তার।
রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন সহিংসতার দিকে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘যারা সমাবেশে আসবেন, তারা যেন লাঠি বা ব্যাগ না নিয়ে আসেন। বিস্ফোরণ বা সাবোটাজ ঘটানোর সুযোগ যেন না হয়।’