ঈদের দিন মানুষের প্রতি যত ভালবাসা বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন। ঈদের আগে সারাদিন নানান সরকারী-বেসরকারী ও সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যস্থ থাকা মানুষটি একটু অবসর পেলেই বেড়িরে পড়েন সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নিতে।
জানতে চান, তারা কেমন আছেন, কোন সমস্যা আছে কি? এভাবেই পবিত্র মাহে রমজানের রোজা শেষে শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ৮ টায় লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সবার সাথে কুশল বিনিময় শেষে নিজ বাসা লালমনিরহাট পৌর শহরের সাপটানা রোডস্থ (জুম্মাপাড়ায়) ফিরেন। ঈদের দিন অসংখ্য জনপ্রতিনিধিরা যখন পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ আড্ডায় ব্যতীব্যস্থ, ঠিক তখন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন পরিবার পরিজনের সাথে সময় না কাটিয়ে ব্যতিক্রম ঈদ উদযাপন করেন। ঈদের দিন কামরুজ্জামান সুজন তার সঙ্গে ক’জন সঙ্গী নিয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ভর্তিকৃত রোগীদের খোঁজ খবর নেন। তাদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ঈদের দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ খাবার পরিবেশন, ওষুধ ও সুচিকিৎসায় নিশ্চিতের দেখভাল করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন আমার বাড়ির আপনজনরা আসেনি। কিন্তু এসেছিল উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ভাই। যিনি ঈদের দিন নিজের পরিবার ছেড়ে অসহায় মানুষদের হাসপাতালে নিঃস্বার্থভাবে দেখতে আসেন এমন রাজনৈতিক নেতাকে ভোট দেয়া বিফল যায়নি। আমি খুবেই খুশি।
অপর বেডে চিকিৎসাধীন থাকা আখলিমা বেগম বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। দায়িত্ববোধ ও মহানুবতা কি জিনিস এ ঈদে তা দেখলাম। বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যা এ যুগে কমে গেলেও এখনো কিছু মানুষ আছে যারা মানুষের বিপদে পাশে এসে দাঁড়ায়। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছেন, আমাদের সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন।
উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের (১০ মার্চ) লালমনিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কামরুজ্জামান সুজন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সারাদিন নানান কর্মব্যস্থতা শেষে একটু অবসর পেলেই বেড়িরে পড়েন সাধারণ মানুষের খুঁজে। শুধু তাই নয়, নভেল করোনা ভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলা বাসী-কে বুকে আগলে রাখতে জেলা প্রশাসনের সাথে দিন-রাত কাজও করেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত মৃত: হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনকে তিনি নিজেই দাহ করেন।
জাতির ওই চরম ক্রান্তিকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন এমন ভূমিকায় ভূয়সি প্রসংশা কুঁড়িয়েছিলেন সেই সময়, যার সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, মানুষের ভালোবাসা কেনা যায় না। এটা মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আসে। সাধারণ মানুষের সাথে চলাচল করার অভ্যাস আমার চেয়ারম্যান হওয়ার আগেও ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে তা আরো দ্বিগুণ হয়েছে। আমার প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা আছে, ইনশাল্লাহ আগামীতেও থাকবেন।