মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। টানা অষ্টম দিনের মতো ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে শুক্রবার রাতে ইরান ৩৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরের দিকে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ধারণা করছে, এর মধ্যে ২৫টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছিল উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন।
তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা ও রামাত গান শহরে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে কমপক্ষে ২৭১ জন আহত হন। হাইফার একটি আবাসিক এলাকায় আঘাতে একজন কিশোরসহ দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তেল আবিবে একটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয়, যদিও দূতাবাস সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল শাহাব-৩, হাভেইজেহ, এমাদ, হোরামশাহর, সেজিল ও খাদের—যেগুলোর পাল্লা ১,৩০০ থেকে ২,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের বিদ্যুৎ গ্রিড, তেল পরিশোধনাগার ও আবাসিক ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলও পাল্টা হামলায় ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অন্তত ৪০টি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে। তেহরানের কাছে কারাজ শহরের দুটি পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, “আমাদের জাতি সাহসিকতার সঙ্গে শক্তি প্রদর্শন করেছে”। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাপ্রধান সতর্ক করেছেন, এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে তা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব রাজনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।