রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী দিনবদল, সুস্থধারা ও রাজনৈতিক সহাবস্থানের প্রবর্তক এবং সৎ রাজনীতিকের প্রতিকৃতি।
এমপি ফারুকের চেস্টা অনেক রাজনৈতিক নেতার ইনশাল্লাহ্ থেকেও শক্ত বলে অভিমত এই জনপদের মানুষের। তিনি ব্যক্তি জীবনে যেমন বিলাস-প্রচারবিমূখ সাদামাটা, তেমনি সরস কৌতুকপ্রিয়, কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়ে উপাধী পেয়েছেন গণমানুষের নেতার। এখানো তাঁর বাড়ি বা রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে অন্তত্ব এক কাপ চা অথবা মিষ্টি খাননি নির্বাচনী এলাকায় এরকম একজন মানুষকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্বাচনী এলাকার দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে এখানো তিনি ‘ফারুক ভাই’ বলে পরিচিত, সবার কাছে তিনি একজন সৎ রাজনীতিকের প্রতিকৃতি হয়ে উঠেছেন।
এছাড়াও রাজনীতির মাঠে অন্যরা যখন মিথ্যা ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের মাঠ গরম করে ভোট আদায়ে সিদ্ধহস্ত তিনি তখনও এসব থেকে বিরত, এমপি ফারুকের সব থেকে বড় গুন ভোট পাবার আশায় তিনি কখানো মানুষকে মিথ্যা ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি দেন না। তিনি যদি বলেন, চেস্টা করবো তাহলে সেই কাজ তিনি করবেন তবুও তিনি ওয়াদা করবেন না। এছাড়াও তিনি রাজনীতিতে বশংবদ সৃষ্টি, রাজনৈতিক দুর্বুত্তায়ন, স্বজনপ্রীতি ও লেজুড়বুত্তি পরিহার করে স্বচ্ছ রাজনীতির প্রবর্তন করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই তানোরের বাধাইড় ইউপির প্রত্যন্ত পল্লী সাঁইধারা গ্রামের বাসিন্দারা তাদের গ্রামের একটি মাত্র রাস্তা পাকা করণের দাবী করে আসছিল। এমনকি বিএনপি নেতা ও সাবেক ডাকমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক নির্বাচনী প্রচারণায় ভোট চাইতে গিয়ে বলেছিলেন তিনি যদি নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে রাস্তাটি অবশ্যই পাকা করে দিবেন ইনশাল্লাহ।
কিত্তু ১৯৯০ থেকে ২০০৬ এই সময়ে এসব মানুষের ভোটে বিজয়ী হয়ে ব্যারিস্টার আমিনুল একবার সাংসদ, একবার প্রতিমন্ত্রী ও একবার পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিকই তবে রাস্তাটি আর পাকা হয়নি। এদিকে বিগত ২০০৮ এমপি ফারুক চৌধূরী নির্বাচনী প্রচারণায় সাইধারা গ্রামে গেলে গ্রামবাসী দাবি করেন তিনি যদি ওয়াদা করেন নির্বাচনে বিজয়ী হলে তিনি তাদের গ্রামের রাস্তাটি পাকা করে দিবেন তাহলে তারা সবাই তাকে ভোট দিবেন। এ সময় এমপি ফারুক তাদের বলেছিলেন তিনি কথা দিতে পারবেন না তবে চেস্টা করবেন নসিবে থাকলে হবে।
নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর তিনি প্রথমেই সাইধারা গ্রামের রাস্তাটি পাকা করণের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন কাজ শুরু করে ছিলেন। আবার ৯০ দশক থেকেই তানোরের কৃষকরা দাবি করে আসছিলেন বে-সরকারিভাবে হলেও যেনো এখানে একটি কোল্ড স্টোর নির্মাণ করা হয়। কিন্ত্ত কোল্ড স্টোর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৯০ দশক থেকে ২০০৬ পর্যন্ত প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক সাংসদ, প্রতিমন্ত্রী ও পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তবে কোল্ড স্টোর আর নির্মাণ হয়নি। অথচ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারণায় এমপি ফারুক চৌধূরী বলেছিলেন তিনি কথা দিতে পারবেন না তবে তানোরের কৃষকের জন্য তিনি চেস্টা করবেন।
এর পর নির্বাচিত হয়েই তিনি তাঁর বিভিন্ন শিল্পপতি বন্ধুদের প্রতি আহবান জানান তারা যেনো একটি করে হলেও তানোরে কোল্ড স্টোর নির্মাণ করেন তার প্রচেস্টায় এখন তানোরে ৫টি কোল্ড স্টোর নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরো দুটি কোল্ড স্টোর নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এছাড়াও একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরী ও একটি চামড়া শিল্প কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা চলমান রয়েছে।
বিগত ৯০ দশক থেকেই কৃষি প্রধান এই নির্বাচনী এলাকার মানুষের দাবি ছিল বিদ্যুতের সঞ্চালন বৃদ্ধি ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণের। তবে এসব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যারিস্টার আমিনুল হক বলেছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে ইনশাল্লাহ তবে তিনি নির্বাচিত হয়ে সাংসদ, প্রতিমন্ত্রী ও পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও সঞ্চালন লাইনে নতুন করে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বা এক কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে পারেননি। অথচ নির্বাচনী প্রচারণায় এমপি ফারুক চৌধূরী বলেছিলেন তিনি ওয়াদা করতে পারবেন না তবে নির্বাচিত হলে সরকারের কাছে তানোরের মানুষের এসব দাবি তুলে ধরে তা সমাধানের চেস্টা করবেন।
নির্বাচিত হবার পরে এমপি ফারুকের প্রচেস্টায় তানোর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে । তানোরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পিডিবি বিদ্যুতের ৪৭৩৭ গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে, বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ মেগাওয়াট, সঞ্চালন লাইন বৃদ্ধি ১০১ কিলোমিটার এবং ট্রান্সফরমার ৪৯টি, এছাড়াও নতুন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সম্প্রসারণের জন্য ইতমধ্যে প্রায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমনুরা গ্রীড উপকেন্দ্র থেকে ডাবল সার্কিট ৩৩ কেভি লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন বৃদ্ধি পয়েছে ৪৩২ কিলোমিটার, গ্রাহক সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬১ জন বেড়েছে এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ১টি।
আবার অধিকাংশক্ষেত্রে বড় বড় নেতার বাড়িতে মৌসুমি ফল আম-লিচু-পুকুরের বড় মাছ ইত্যাদি উপঢৌকন দিতে যখন নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলে তখন এমপি ফারুক চৌধূরীর বাড়িতে এসব কিছু তো বটেই এক টাকারও কোনো জিনিষ নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারে না।
এছাড়াও তানোরের মৎস্যজীবীদের উন্নয়নের ওয়াদা করে একাধিকবার ব্যারিস্টার আমিনুল হক বিজয়ী হয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন কিন্ত মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে একটি টাকাও ব্যয় করেননি। অথচ নির্বাচনী প্রচারণায় এমপি ফারুক চৌধূরী বলেছিলেন মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে তিনি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না তবে নির্বাচিত হলে চেস্টা করবেন মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে কিছু একটা করার। এর পর তিনি নির্বাচিত হয়েই মৎস্যজীবীদের উন্নয়নের জন্য বিলকুমারী বিলে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি মৎস্য অভায়াশ্রম ও একটি কজওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। রাজশাহী-১ আসনের রাজনীতিতে এমপি ফারুকের এই রকম হাজারো উদাহারণ রয়েছে, যেখানে অন্যরা ইনশাল্লাহ বলে ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে প্রতিশ্রুতি পুরুণ না করে ফাঁকি দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, ষেখানে এমপি ফারুক চৌধূরী চেস্টা করার কথা বলেছেন তিনি তা পুরুণ করেছেন।
এসব বিবেচনায় সাধারণ মানুষ বলছে অন্যদের ইনশাল্লাহ থেকে এমপি ফারুক চৌধূরীর চেস্টা অনেক বেশি শক্ত। সব থেকে বড় কথা ফারুক চৌধুরী আছে বলেই নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ শান্তিতে রয়েছেন। কিছু হোক আর না হোক দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পরিবারের সঙ্গে নিশ্চিতে রাত্রিযাপন করতে পারেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানির ভয় নাই। অথচ একটা সময় ছিল যখন কোনো নেতার সঙ্গে মতবিরোধ হলে পরিবারের সঙ্গে নিশ্চিতে রাত্রিযাপন করাটা ছিল দুরুহ।
এসব বিবেচনায় এই জনপদের মানুষ আগামি দিনেও এমপি হিসেবে ফারুক চৌধুরীকেই চাই। এবিষয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও তরুণ উগ্যোক্তা আবুল বাসার সুজন বলেন, আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছেই বড় সম্পদ।তিনি বলেন, অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌঁচ্ছাতে চাই, সেখান থেকে নেমে তার রাজনীতির শুরু। তিনি বলেন, এখানকার রাজনীতিতে তার কোনো বিকল্প নাই।