ঢাকেশ্বরী মন্দির, ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্দির


ঢাকেশ্বরী মন্দির ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। ঢাকার ঢাকেশ্বরী রোডের উত্তর পার্শ্বে মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দির অঙ্গনে প্রবেশের জন্য রয়েছে একটি সিংহদ্বার। সিংহদ্বারটি নহবতখানা তোরণ নামে অভিহিত। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রাচীন তত্ত্ব বেশ রহস্যাবৃত বিশ শতকের গোড়ার দিকে ব্র্যাডলী বার্ট লিখেছেন যে, মন্দিরটি দুশো বছরেরও অধিক পুরানো এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন হিন্দু এজেন্ট এটি নির্মাণ করেছিলেন।
আবার জনশ্রুতি অনুযায়ী মন্দিরটির নির্মাতা বল্লাল সেন নামে একজন রাজা। মন্দিরটি আগাগোড়াই চুন-বালির গাঁথুনিতে নির্মিত, যা বাংলার মুসলিম আমলেরই স্থাপত্য রীতির বৈশিষ্ট্য। অন্যদিকে মন্দিরের রীতি এবং গঠনকাঠামো এর নির্মাতা হিসেবে অন্য একজনকে ইঙ্গিত করে। এখানে আরাকানি বৌদ্ধ মন্দিরের মতো পুকুর, অশ্বত্থবৃক্ষ, বাগান, মঠ, পান্থশালা, সন্ন্যাসীর আশ্রম, মন্ডপ, বারান্দা, গর্ভগৃহ ইত্যাদি রয়েছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দশভুজা দেবীর বিশিষ্ট কোনো নাম নেই। কোথাও তিনি রাজেশ্বরী, কোথাও তিনি দুর্গা, আবার কোথাও তিনি মহামায়া বা চন্ডী। শহরের পৃষ্ঠপোষক ঈশ্বরী হিসেবে এ দশভুজা দেবীর নাম হয়েছে ঢাকেশ্বরী (ঢাকা+ঈশ্বরী)।
দেবী ঢাকেশ্বরী বিগ্রহটি ৮০০ বছরেরও প্রাচীন। মন্দিরের মূল বিগ্রহটি এই মন্দিরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালের সময় এই মূর্তিটি বিশেষ বিমানে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে প্রতি বছর এ মন্দিওে দশভ’জা দুর্গা দেবীর পূজা করা হয়।