‘সার্কভুক্ত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি অনেক কম’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও তুরস্কের চেয়েও বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কম।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে তথ্য অধিদপ্তর প্রকাশিত পদ্মা সেতুভিত্তিক সংবাদ সংকলনের সাতটি খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব, তিনি শিক্ষক ছিলেন আর আমি এখনও শিক্ষকতা করি। তাই মাস্টার হিসেবে একজন প্রাক্তন মাস্টারের কাছে অনুরোধ, মাস্টার হিসেবে সমাজের যাতে বদনাম না হয়, সে জন্য তার একটু পড়াশোনা করা দরকার।
আরও পড়ুন— নরসিংদীর চট্রগ্রাম থেকে অপহৃত শিশু মাধবদীতে উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেপ্তার
তাকে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির দিকে একটু তাকাতে বলব। ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে সারা বিশ্বে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার যুক্তরাষ্ট্রে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, জার্মানিতে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯ দশমিক ১ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, রাশিয়াতে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ, তুরস্কে ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ, ভারতেও ৭ শতাংশের ওপরে। আমাদের দেশে মে মাস পর্যন্ত সেটি ৬ শতাংশের একটু ওপরে ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে।
দেশে এখনও কম মূল্যস্ফীতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভবপর হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ববাজারে ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে। আমরা আশা করছি, দু-এক মাসের মধ্যে এর সুফল পাব।
আরও পড়ুন— চারা গাছের সাথে শত্রুতা
গত সাড়ে ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে বিরোধীদের হুমকি-ধমকির মধ্যেই জনগণ আমাদের আরও দুইবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। অথচ অফিসে আসার সময় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখেছি জনাপঞ্চাশ মানুষ দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন। আশপাশের গাছপালাতেও তার চেয়ে বেশি কাক আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, দেশে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। ভারত, ইংল্যান্ড, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে যেভাবে হয় ঠিক একইভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।