নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল মাইজপাড়া এলাকার মোঃ কামাল হোসেনের মেয়ে কল্পনা আক্তারের বিরুদ্ধে বিয়ের নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, প্রতারণা-জালিয়াতি ও নিরীহ লোকদের মামলায় ফেলে হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে। তার ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।
তার প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাকে গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারই ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়া রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ জাকির হোসেনের ছেলে মোঃ মাসুম বিল্লাহ। তিনি আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার সাথে আমার পরিচয়। ঐ নারী নিজেকে নরসিংদী সরকারী কলেজের ছাত্রী হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেয়। এছাড়া ঐ মেয়ের বাবা নাকি একজন শিল্পপতি।
অথচ খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, উক্ত কল্পনা আক্তার এস.এস.সি ও পাশ করতে পারে নাই। এই বয়সেই কল্পনা আক্তারের ১৭ টি বিয়ে হয়েছে। আমি তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দা এলাকায় তার স্বামীর বাড়িতে এসেছিলাম। আমাকে আটকিয়ে রেখে অমানসিক নির্যাতন চালিয়েছে এই কল্পনা আক্তার। তারই একজন আত্মীয় প্রভাবশালী সাংবাদিকের পরিচয় ব্যবহার করে ও ৯৯৯ এ কল দিয়ে রায়পুরা থানা থেকে পুলিশ এনে আমাকে আদালতে হস্তান্তর করে।
অথচ আমার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে এই কল্পনা আক্তার। তার বাবার ব্যবসা দাড় করাতে এই টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে কল্পনা আক্তার। অথচ কল্পনা আক্তারের ফেসবুকে দেখা যায় যে ঐ প্রভাবশালী সাংবাদিক নাকি তার স্বামী। কল্পনা আক্তার নিজেই এই স্ট্যাস্ট্যাস দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল মাইজপাড়া এলাকার মোঃ কামাল হোসেনের মেয়ে কল্পনা আক্তারের এ পর্যন্ত ১৭ এর অধিক বিয়ে হয়েছে। বিয়ে করে কিছুদিন পর সেই স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া এবং তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকাসহ নানা কৌশলে বাড়ি-গাড়ি হাতিয়ে নেওয়াই তার ব্যবসা। তার মূল টার্গেট সম্পদশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ চাকুরিজীবী ও প্রবাসী পুরুষ। প্রথমে টার্গেট নিশ্চিত করে তিনি ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নিজ দেহের সৌন্দর্য ও কথা মালার মারপ্যাঁচে আটকে ফেলেন টার্গেটকৃত পুরুষদের।
এদিকে আরেক ভুক্তভোগী মেথিকান্দা এলাকার বাসিন্দা এবং কল্পনা আক্তারের সাবেক স্বামী রফিকুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, কল্পনা আক্তারের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিবাহের কিছুদিন পরেই আমি বাড়ীতে না থাকা অবস্থায় সে অন্য পুরুষদের বাড়ীতে এনে অসামাজিক কাজ করে। আমি অনেকদিন হাতে নাতে তাকে ধরেছি। পরবর্তীতে তার বাবাকে ডেকে এনে আমি এই খারাপ দেহ ব্যবসায়ী মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছি। তার বাবা নিজের মেয়েকে এই দেহ ব্যবসায় নামিয়েছে বলে এলাকাবাসী। এই কল্পনা আক্তার এর কুকীর্তির বিষয়ে আগামী ৭ পর্বে তুলে ধরা হবে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এ বিষয়ে কল্পনা আক্তার এর বাড়ী মরজাল মাইজপাড়া এলাকায় গেলে কামাল হোসেনের দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। প্রভাবশালী সংবাদকর্মীর বাড়ীতে গেলে তার মায়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে কল্পনা আক্তারের বাড়ীর পাশে থাকা এক মহিলা তার পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংবাদকর্মীদেরকে বলেন, একাধিক বিয়ে করেছে এই কল্পনা। বিভিন্ন প্রবাসী পুরুষদের নিকট সে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তার মা-বাবার শাসন নেই বিধায় কল্পনা আক্তার এই অবৈধ পথে চলে গেছে। ফেসবুকেও আমরা লক্ষ্য করেছি কল্পনা আক্তারের ১৭ টি বিবাহ হয়েছে।