২য় পর্বের পর থেকে,,,,,
সন্ধ্যাবেলা আমগাছের নিচে গেলাম।দেখি তামান্না আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে বললোঃ
– একটু দ্রুত আসতে পারো না।আমি তোমার জন্য অনেকক্ষণ ধরে বসে ছিলাম।
– আসতে আসতে একটু সময় লাগলো।আচ্ছা বাদ দেও।তুমি আসতে বলছিলে কেনো।
– এম্নেই
– এটা কোনো কথা।
– হুম
– তুমি থাকো আমি গেলাম।
– আরে কই যাও,কাজ আছে তো।
– কি কাজ।
– চোখ বন্ধ করো।
– আমি পারবো না।
– আহা এত কথা না বলে চোখ বন্ধ করতো।
আমি চোখ বন্ধ করে দাঁড়ালাম। কিছুক্ষণ পর তামান্না বললোঃ
– এবার চোখ খুলো।
আমি চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি তামান্না একটা মোবাইল আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি তখন বললামঃ
– তুমি কি নতুন মোবাইল কিনছো
-হুমম।
-ভালো,তা এ দেখার জন্য আমাকে এনেছিলে।
-হুম
-এখন দেখা হয়ে গেছে, আমি গেলাম।
-আরে বুদ্ধ এই মোবাইল তোমার জন্য।
-আমি তোমার মোবাইল নিভো কেনো।
-আমি দিয়েছি তাই নিভে।
-আমি পারবো না।
-তোমার পারতেই হবে,এখন মোবাইলটা হাতে নেও।দেখো তোমার পছন্দ হয়েছে কি না।
-উপ দেখো, আমি তোমার থেকে মোবাইলটা নিতে পারবে না।
-কি তুমি নিভে না, ঠিক আছে আমি পুকুরে ফেলে দিচ্ছি।
-আরে করো কী করো,আমি নিচ্ছিতো, এত রাগ করো কেনো।
-এ-ই তো ভালো ছেলে। এখন বাসায় যাও,রাতে কথা হবে।
আমি তামান্নার দেওয়া মোবাইলটা হাতে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। রুমের ভিতরে ঢুকে মোবাইলের প্যাকেট খুলে আমি অবাক হয়ে গেলাম। opp মোবাইল। যাক একটু ভালো লাগলো।একটা নতুন মোবাইল পেলাম।
রাতে খাওয়া দাওয়া করে তামান্নার সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পরলাম।
• দেখতে দেখতে আমাদের ssc পরিক্ষা শেষ হয়ে গেলো। অনেক দিন বন্ধ পেলাম। তা-ই কিছুদিনের জন্য ঘুরতে নানা বাসায় গেলাম। মামাতো ভাই বোনদের সাথে সারাদিন ঘুরাঘুরি আড্ডা আর তামান্নার সাথে চুটিয়ে প্রেম করা।
রেজাল্ট বের হলো।ভালো রেজাল্ট করেছি।আব্বুর ইচ্ছে হলো আমাকে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় ভর্তি করাবে।আমিও আর না করি না-ই। ঢাকায় এসে মাদ্রাসায় ভর্তি হলাম। পড়াশোনা চলছে। কয়েকমাস পর মাদ্রাসা কিছুদিনের জন্য বন্ধ দিলো।আমি বাসায় আসার আগে তামান্নার জন্য কিছু কিনে নিয়ে বাসায় গেলাম।
সন্ধ্যায় তামান্নার সাথে দেখা করলাম। আমাদের দুজনের অনেকদিন পর দেখা।সাথে সাথে তামান্না আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আমিও আবেগে জড়িয়ে ধরলাম। তামান্নার হাতে কিছু গিপ্টের প্যাকেট দিলাম।এতে খুব খুশি হয়ে গেলো। অনেকক্ষণ কথাবার্তা বলে বাসায় চলে আসলাম।
দুদিন পর বাসার সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেতে বসলাম । তখন আব্বু বললোঃ
– আমাদের চেয়ারম্যানের মেয়েটার ভালো জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে। বড় ঘরে যাবে মেয়েটা।
আমি তখন বললামঃ আব্বু তুমি কোন চেয়ারম্যানের কথা বলছো।
-আমার বন্ধু, আমাদের এলাকার চেয়ারম্যানের মেয়ে তামান্নার কথা বলছি।ছেলেটা বড় অফিসার। দোখতে ভালোই।
আম্মু বললোঃ কি বলেন তামান্নার বিয়ে ঠিক হলো কবে।
-কালকে সন্ধ্যায়। আর দু’দিন পর বিয়ে।
-আম্মু বললোঃ যাক তা হলে তো ভালোই। মেয়েটে কিন্তু অনেক ভালো।দোয়া করি মেয়েটা সুখে থাকে।
আম্মু আব্বু তামান্না কে নিয়ে কথা বলছে।এদিকে আমার অবস্থা খারাপ। খাবার আর খেতে পারছি না। মুখ দিয়ে ভিতরে খাবার নামছে না। আমি দ্রুত খাবার খেয়ে উঠে গেলাম। তামান্নাকে কল দিলামঃ
-হ্যালো, এগুলো আমি কি শুনছি।
-কান্না করে তামান্না বললোঃ আমি কিছুই জানতাম না।হঠাৎ করে মা বলছে তোর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। তুমি কিছু একটা করো।
-আমিও যে তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
-তুমি আজকে সন্ধ্যায় দেখা করো।
পরবর্তী পর্ব আসছে ,,,,,,,