মৈত্রী পাইপলাইন বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাইলফলক : প্রধানমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন’ উদ্বোধনকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই মেত্রী পাইপলাইন আমাদের দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতা উন্নয়নের একটি মাইলফলক অর্জন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে ভারত-বাংলাদেশ এই মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) থেকে নেওয়া প্রায় ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি ব্যয়ে নির্মিত ১৩১ দশমিক ৫ কি.মি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করবে ভারত। ভারতের শিলিগুড়ির নুমালীগড় রিফাইনারী থেকে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে ডিজেল আমদানি করা হবে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ১২৫ এবং ভারতের অংশে ৫ কিলোমিটার। পাইপলাইনটির হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি)-এর বার্ষিক পরিবহনের ক্ষমতা ১ (এক) মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটিপিএ)।

পাইপলাইনটি উদ্বোধনের পর উভয় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি, পারস্পরিক সুবিধার জন্য দেশ দুটির মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপরও তাঁরা জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশের জ¦ালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের দুই দেশের এই বন্ধুত্ব অটুট থাকুক সেটাই আমি চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে সেটাকে আমরা কার্যকর করতে চাই। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা আরো উন্নত করতে চাই, যাতে, ভারতের সঙ্গে আমাদের এই বন্ধুতত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দুই দেশের জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে আমরা একসাথে কাজ করে যেতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কারণ, আমরা চাই আমাদের দেশের এই উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হোক।

বিজ্ঞাপন

সেই সাথে আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর এবং সিলেট, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করেছি। এগুলো ভারতের জন্য সম্পূর্ন উন্মুক্ত করে দিচ্ছি যাতে এই বন্দরগুলো ব্যবহারে ভারতের কোন অসুবিধা না হয়। এরফলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সহজ হবে এবং দুই দেশের মানুষই লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আমি চাই, ভারতের বিনিয়োগকারিরা সেখানে এসে আরো বিনিয়োগ করুন। আমরা দুই দেশই তাতে লাভবান হবো।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনেও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের মতো আরো সফলতা বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে উদযাপন করবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একইসঙ্গে কাজ করবে।

 

সূত্র: বাসস

শীর্ষ সংবাদ:
ভালুকায় বিভিন্ন মামলায় ১৬ জন আটক ইজিবাইক মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবকের হাত বিছিন্ন সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড ২৬ টাকায় ইফতার ২৬ টাকায় ২৬টি পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী উপহার বৃষ্টিতে সিলেট জুড়ে কৃষি জমিতে ফিরছে সবুজের সমারোহ হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু মির্জাগঞ্জে আস- সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সিলেটে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার রাজশাহী মহানগর আ.লীগ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে বহিস্কারের দাবিতে সমাবেশ স্বাধীনতা দিবসে বাইডেনের শুভেচ্ছা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ সাতক্ষীরায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ, ব্যাবসায়ী সেন্ডিকেটে বিপাকে ক্রেতা রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপির সমালোচনা প্রধানমন্ত্রীর ‘কাপ্তানবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হানিফ ফ্লাইওভার’ ইসরায়েলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরখাস্ত, রাস্তায় লাখো মানুষ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিলে পেটালো সোকসাস’র অর্থ সম্পাদককে পায়রা বন্দর এখন আর সম্ভাবনা নয়, বাস্তবতা: পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রাণীশংকৈলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত কুমিল্লায় স্বাধীনতা দিবস পালিত এই প্রাণীটি থেকেই কি কোভিড মানুষের দেহে ঢুকেছিল?