বাংলার মানুষের কথা ভেবেই দেশে এসেছি পালাতে নয়: প্রধানমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্র রুখে শুধু দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এই বাংলার দুঃখী মানুষের কথা ভেবেই দেশে এসেছেন, পালাতে নয়। শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় আমরা দুই বোন বেঁচে যাই। রোববার বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া কেউ এ দেশের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা দেয়নি। আওয়ামী লীগ আজ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। বিএনপি বলে ক্ষমতা গেলে পালানোর সুযোগ পাবেন না। আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। পালায় আপনাদের নেতারাই। যেই নেতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল। সেই দূর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত নেতা আজ বড় বড় কথা বলে। বিএনপি-জামায়াতের পাঁচার হওয়া ৪০ কোটি টাকা দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানানো হয়। আমি আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি এমন একটি দেশে ফিরে আসি। যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। সে অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি, শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তারপর চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশকে উন্নত করতে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া কেউ এদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়নি, চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজশাহী সারাজীবন অবহেলায় ছিল। আপনারা এখানে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। আমরা উন্নয়ন করেছি। রাজশাহীতে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে। রাজশাহীতে ৪ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। আজ যে কাজগুলো উদ্বোধন করা হলো এগুলো রাজশাহীবাসীকে আমার উপহার। তিনি আরো বলেন, এই রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা করে দেন।

এরপর সব বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ বন্ধ কারখানা চালু করতে কাজ করে। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দেই। এই রাজশাহীর মানুষের কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু এরইমধ্যে রাজশাহীর মানুষের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।

জানা গেছে, ২৯ জানুয়ারী রোববার রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ:
ঈশ্বরদী ইপিজেডে দাবি পূরণের আশ্বাসে কাজে যোগদান শ্রমিকদের বাসে তল্লাশি করে ২০ বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেপ্তার ১ আর্ট অ্যান্ড হেরিটেজ সোসাইটির দায়িত্ব হস্তান্তর ও পুরস্কার বিতরণ কুমিল্লায় দুই সৎ ভাইকে হত্যার দায়ে আরেক সৎ ভাইয়ের ফাঁসি সাঁথিয়ায় রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর যুবকের মৃত্যু শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে সংবর্ধনা রসিকে ভোটের পর বদলে গেছে কাউন্সিলরদের আচরণ, অনেকের বিরুদ্ধে নাগরিকদের নানা অভিযোগ ভালুকায় বিভিন্ন মামলায় ১৬ জন আটক ইজিবাইক মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবকের হাত বিছিন্ন সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড ২৬ টাকায় ইফতার ২৬ টাকায় ২৬টি পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী উপহার বৃষ্টিতে সিলেট জুড়ে কৃষি জমিতে ফিরছে সবুজের সমারোহ হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু মির্জাগঞ্জে আস- সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সিলেটে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার রাজশাহী মহানগর আ.লীগ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে বহিস্কারের দাবিতে সমাবেশ স্বাধীনতা দিবসে বাইডেনের শুভেচ্ছা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ সাতক্ষীরায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ, ব্যাবসায়ী সেন্ডিকেটে বিপাকে ক্রেতা রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপির সমালোচনা প্রধানমন্ত্রীর