দেশে এক বছরে খাদ্যপণ্যে ব্যয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

বাংলাদেশে গত এক বছরের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ। এতে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার। গত ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিল ৮ শতাংশের বেশি। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দরিদ্র ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। একই সঙ্গে খাদ্য খাতে তাদের ব্যয় বেড়ে গেছে।

বুধবার রাতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ। একই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়ছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন সরকারের বৈদেশিক সাহায্যদাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এতে বলা হয়, খাদ্যের চড়া দাম প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দরিদ্র ভোক্তাদের খাদ্য কেনার সক্ষমতা কমে গেছে। একই সঙ্গে এ খাতে তাদের ব্যয়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯ শতাংশে উঠেছিল। এরপর থেকে তা কমতে থাকে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত কমেছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আবার বেড়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছিল। গত জানুয়ারি পর্যন্ত তা কমে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে যায়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ। মার্চে তা আরও বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে।

এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন রোজা ও ঈদের কারণে গত এপ্রিলে পণ্যমূল্য বেড়েছে। তার পরও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কিভাবে কমল।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। মার্চে এ হার ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। নেপালেও কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ।

শ্রীলংকাতে খাদ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করায় এ খাতে মূল্যস্ফীতির হারও কমছে। গত মার্চে সে দেশে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ। মার্চে তা কমে ৩০ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। মালদ্বীপে বেড়ে ৮ শতাংশ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব দেশ খাদ্যসামগ্রী আমদানি করে ওইসব দেশে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেশি হচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে দুদিক থেকে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। একদিকে বেশি দামে খাদ্য কেনার দেশে এগুলোর দাম বাড়ছে। অন্যদিকে বেশি দামে আমদানি করায় ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাচ্ছে। এতে দুদিক থেকে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ভোক্তার ওপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে দরিদ্র শ্রেণির ভোক্তারা।

শীর্ষ সংবাদ:
বিদ্যুতে বকেয়া ১৮ হাজার কোটি টাকা সবাইকে সমান সুবিধা দিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ আইনমন্ত্রীর গুচ্ছ ‘সি’ ইউনিটে পাস ৬৩.৪৬ শতাংশ, প্রথম হয়েছে রায়হান শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে হেনস্তা কলারোয়ায় ক্রীড়া সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদান শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে: মুজিবুল হক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছাতা বিতরণ ইবির জালালাবাদ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আল-আমিন ও পাশা গাইবান্ধায় পুলিশের কঠোর তৎপরতায় কৃষি ব্যাংকের ১৪ লাখ টাকা লুটের রহস্য উন্মোচন দেশ সেবার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠার আহ্বান ইবি উপাচার্যের আগামীতে নির্বাচিত হলে রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপন করতে চাই : লিটন কবির জন্য অপেক্ষা নরসিংদীতে জমে উঠেছে কাঠাল সহ বিভিন্ন ফলের বাজার নরসিংদীতে রায়পুরায় মহিষের আক্রমণে কৃষক দম্পত্তি গুরতর আহত ঈশ্বরগঞ্জে অটোরিকশার চাপায় শিশু নিহত মোরেলগঞ্জে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি গ্রেফতার আমি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিলাম সাতক্ষীরায় রুহুল হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার তারেক-জোবাইদার মামলা: সাক্ষ্য দিলেন তিন ব্যাংক কর্মকর্তা পাইকগাছায় ইজারা নিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিপাকে ইজারাদার