একজন অকুতভয় বীর সৈনিক শওকত আলী সরকার

রাজধানী টাইমসের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের অনেক বীরত্বের ইতিহাস আছে। বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে পাকবাহিনীকে পরাস্ত করার ঘটনা এখানকার মুক্তিবাহিনীকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছিল। সম্মুখ সমরে অংশ নেয়া মুক্তিযুদ্ধের তেমনই এক দুর্ধষ মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় তিনি বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত হন।

শওকত আলী সরকার ১৯৪৮ সালে জন্মেছিলেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ দক্ষিণ ওয়ারী এলাকায়। তিনি ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত হন। তার সনদ নম্বর ১৭২। মুক্তিযুদ্ধের এ বীর সেনানী ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট বার্ধক্যে জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন।

২৫ মার্চের কালরাত্রির নির্বিচারে গণহত্যার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পাকবাহিনীর নিশ্চিত আক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেন। দেশের এমন দুঃসময়ে টগবগে যুবক শওকত আলী সরকার যুদ্ধে অংশ নিতে চলে যান রৌমারী। মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের অধিনে প্রশিক্ষনের পর মাইনকার চর সাব সেক্টরের হয়ে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন। উলিপুরের হাতিয়ায় সম্মুখযুদ্ধে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধকালিন সময়ে সৈয়দপুরে তৃতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের সাথে পাক আর্মির বেলুচ রেজিমেন্টের সংঘাতের পর তৃতীয় বেঙ্গলের এক প্লাটুনের বেশি সেনা রকেট লাঞ্চার, এসএমজিসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী হয়ে নদীপথে রৌমারী চলে আসেন তিনি। সেখানে সাদাকাত হোসেন ছক্কু মিয়া ও নুরুল ইসলাম পাপু মিয়ার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সুবেদার আলতাফের নেতৃত্বে শুরু হয় যুবকদের প্রশিক্ষণ।

পাকবাহিনী মুক্তাঞ্চলের খবর জানতে পেরে ট্রেনযোগে চিলমারী এসে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে। তাদের সেই ডিফেন্স ভাঙতে ১ আগস্ট সুবেদার আলতাফের নেতৃত্বে শওকত আলী সরকার চিলমারী আক্রমণের পরিকল্পনায় অংশ নেন। এ যুদ্ধে তীব্র আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটে তেলিপাড়ার চরে আশ্রয় নেন তারা। এ সময় তারা দেখতে পান বাহাদুরাবাদ থেকে গানবোটে পাকবাহিনী আসছে। দু’দিক থেকে পাকবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তারা টিকতে পারেনি। যুদ্ধে সুবিধা করতে না পেরে চরের সাধারণ মানুষের ওপর তারা নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। দু’দিন পর পাকবাহিনী ব্রহ্মপুত্র নদ অতিক্রম করে কোদালকাটির ভেলাবাড়ি স্কুলে অবস্থান নেয়।

এ সময় আলতাফ সুবেদারের নেতৃত্বে শওকত আলী সরকার ও তার সহযোগীরা শপথ নেন কিছুতেই পাকবাহিনীকে এগোতে দেবেন না। সোনাভরী নদী ওপারে মদনেরচর স্কুলে ডিফেন্স গড়ে তোলেন। পাক আর্মি অগ্রসর হওয়ার আগেই তাদের ক্যাম্পের পাশে একটি নালার কাছে পজিশন নেন। রাতে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সাতদিন চলা এ কোদালকাটির যুদ্ধে পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ২১ জন শহীদ হন।

বিজ্ঞাপন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল rajdhanitimes24.com এ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- মতামত, সাহিত্য, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার ছবিসহ লেখাটি পাঠিয়ে দিন rajdhanitimes24@gmail.com  এই ঠিকানায়।

শীর্ষ সংবাদ:
চার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রজ্ঞাপন ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বৃষ্টির জন্য সালাতুল ‘ইসতিসকার’ নামাজ ও বি‌শেষ দোয়া বাণিজ্যিকভাবে আঠাবিহীন বারোমাসি কাঁঠাল চাষে ভাগ্য খুলেছে সবুজের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বৃত্তে আটকা ভোলার জনজীবন! একদিনের ব্যবধানে আবারও কমলো সোনার দাম মোবাইলে ডাটার মেয়াদ চায় না ৯৮ শতাংশ মানুষ এফডিসিতে মারামারি, বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত গাজীপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিকার নামাজ আদায় লালমোহনে আবাসনের ঘর জবরদখলের অভিযোগ রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে তিন শিশুর মৃত্যু বাগেরহাটে দোকান ঘর ভেঙ্গে খাদে পরিবহন, নিহত ১ নবীনগরে চলে না ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন! উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী ড্রামের ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কলাপাড়ায় গ্রামে গ্রামে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব সিলেটে গরমে বেড়েছে জ্বর, ডারিয়া ও হিটস্ট্রোক তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সাতক্ষীরা জবি রঙ্গভূমির সভাপতি ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক নিয়ামতপুরে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল কলেজ ছাত্রীর মরদেহ