১ম পর্বের পর থেকে শুরু,,,,,,
হঠাৎ একদিন বিকালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোবাইলে বন্ধুর সাখে কথা বলতেছি।তখস তামান্না কল দিলো।বন্ধুর সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে করতে অনেক সময় চলে গেলো।কথা শেষ করে তামান্নাকে কল দিলাম।তামান্না কল ধরে বলতে লাগলোঃ
-তুই এখনি আমার বাসার কাছে আয়।
-দেখো তুমি এভাবে কথা বলছো কেনো।
-তো কি ভাবে কথা বলবো।যা বলছি তাই কর।
-দেখো রাগ করো না। শান্ত হয়ে আমার কথা শোনো।
-তোর কাছে এতগুলো কল দিলাম, দেখি তুই ভেস্ত। তোর এত কার সাথে কথা।এখন দ্রুত আমার বাসার কাছে আয়।
একথা বলে মোবাইল কেটে দিলো।আমি এখন কি করি ভাবতে লাগলাম। না কোনো কিছু মাথায় আসতেছে না। ও বেশ রেগে আছে।এখন গিয়ে রাগ ভাঙ্গাতে হবে।
আমি কিছুক্ষণের ভিতরে তামান্নার বাসার পাশে পুকুরের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম। চারদিকে তাকালাম কেউ আছে কি না।না কেউ নেই।তবে খুব ভয় লাগে তামান্নার বাবাকে,যদি দেখে ফেলে তা হলে আমার অবস্থা খুব খারাপ। ওর বাবা আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান। লোকটা ভালো, আমার সাথে ভালো সম্পর্ক।তবে কেনো যেনো ওর বাবার কাছ থেকে একটু দূরে দূরে থাকতে ভালো লাগে।
যাক সে কথা।পুকুরের পাড়ে ঘুরাঘুরি করছি কিন্তু তামান্নার আসার খবর নেই।তা-ই একটু সামনের দিকে আগালাম দেখি তামান্না দাঁড়িয়ে আছে। আমি কাছে গেলাম। যখনি কিছু বলতে যাবো তার আগে সে বললোঃ
-তোমার মোবাইলটা দেও।
-কি করবে,আগে আমার কথা শোনো।
-দেখি তুমি কার সাথে কথা বলছো।দেও মোবাইল দেও।
-তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না।
-সেটা জানি না, এত কথা না বলে মোবাইল দেও।
আমার কাছ থেকে মোবাইলটা নিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো।একটু জোড়ে ফেলার কারনে মোবাইলটা ভেঙে গেলো। আমি নিচ থেকে মোবাইলটা নিলাম। মোবাইলটার জন্য খুব খারাপ লাগলো।তামান্নাকে কিছুই বলতে পারছি না। এখন কিছু বললে আরো অবস্থা খারাপের দিকে যাবে।তা-ই বাদ্য হয়ে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম। তাকিয়ে দেখি তামান্না রাগী ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আরো কি যেনো বলবে।এটা দেখে সেখানে আর দাঁড়ালাম না।চলে আসলাম বাসায়।
তামান্নার সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। এদিকে মনটা খুব খারাপ মোবাইলটার জন্য। খুব প্রিয় একটা মোবাইল। দোকানে ঠিক করতে দিয়ে আসলাম দোকানে।
আজ চার দিন পর ক্লাস করতে কলেজে গেলাম। ক্লাসে বসে ছিলাম। আমার বন্ধু রাকিব এসে বললোঃ
-দোস্ত।
-আরে রাকিব।
-তোর জন্য তামান্না বসে আছে।
-কোথায়।
– লাইব্রেরি বসে কান্না করছে।
– আমি এবার অবাক হয়ে বললামঃ কি বলিস, কান্না করছে মানি,কোনো সমস্যা হয়েছে।
– জানি না, দেখে আসলাম কান্না করছে।তার পাশে বান্ধবীরা বসে আর কি যেনো বুঝাচ্ছে।
– কি বলিস,আচ্ছা তুই ক্লাসে থাক আমি দেখে আসি।
– আচ্ছা যা।
– আর শোন সামনে আমাদের একটা খেলা আছে, সেটা সব বন্ধুকে বলে দিস।আর ইমন আসলে আমাকে মিসকাল দিস।
– হু,তুই এখন তামান্নার কাছে যা।
আমি তামান্নার কাছে গেলাম। দেখি সত্যি সত্যি কান্না করছে। পাশে ক্লাসের কয়েকজন বান্ধবী বসা।আমি যাওয়ার সাথে সাথে সবাই উঠে গেলো।বান্ধবীরা আমাদের রিলেশন সম্পর্কে জানে।আমি তামান্নার পাশে বসলাম।মিশু লাইব্রেরি থেকে বের হওয়ার আগে আমাকে বললোঃ
-দেখ দোস্ত কি হয়েছে তোদের ভিতরে জানি না। তবে যা হয়েছে মিলমিশ করে নে।
একথা বলে চলে গেলো।
আমি তামান্নার দিকে তাকিয়ে বললামঃ
– কি হয়েছে তুমি এভাবে লাইব্রেরিতে বসে কান্না করছো কেনো।
– কান্না করতে করতে তামান্না বললোঃ তুমি আমার সাথে এ কয়দিন যোগাযোগ করোনি কেনো।
– কেনো করবো।
– তুমি জানো না।
– জানি না।
– তুমি এখনো আমার উপরে রাগ করে আছো।
– আমি কারো উপরে রাগ করে নাই।
আচমকা আমাকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ আমাকে মাপ করে দেও।আর কখনো এমন করবো না।
-দেখো এটা লাইব্রেরি এখানে যে কেউ চলে আসবে। এখন আমাকে ছাড়ো।যদি কেউ দেখে পেলে তা হলে খুব কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
-আগে বলো তুমি আমাকে মাপ করেছো।
-করেছি,এখন দ্রুত ছাড়ো।
-ছাড়বো তার আগে আমার কপালে একটা চুমু দেও।
-দেখো এখন কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
-তা হলে আমি আর তোমাকে ছাড়ছি না।
-উপ কি মুসকিলে পরলাম।
-দ্রুত চুুমু দেও, না হলে কিন্তু কেউ এসে এভাবে দেখলে তোমার ক্ষতি হবে।
অবশেষে বাদ্য হয়ে তামান্নার কপালে চুমু দিলাম। তারপর আমাকে ছেড়ে দিলো।আমি চুপ করে বসে আছি।তামান্না বললোঃ
-তোমাকে কতগুলো কল দিয়েছিলাম তোমার মোবাইল বন্ধ পেয়েছি।
-পাবেই তো , সেদিন মোবাইলটা নিচে ফেলে দিলে।এতে মোবাইলটা ভেঙ্গে গেছে।
-ও, আমি খুব দুঃখিত। আর এমন হবে না।
-হু
-শোনা
-বলো
-আজকে সান্ধায় আমাদের বাসার পাশে আমগাছের নিচে আসিও।
-কেনো।
-আরে আসিও।
-না বাবা আমি যাবো না সেদিন যেটা হলো তারপর আর যাওয়ার আসা নেই।
-ধ্যাত তুমি সেই আগের কথা নিয়ে পরে আছো।
-তো কি করবো,যদি সেদিনর মতো হয়।
-হবে না তুমি আসিও, আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো।
সন্ধ্যায় গিয়ে তো আমি অবাক…
আরও পড়ুন—-
আমাদের গল্প
পরবর্তী পর্ব আসছে,,,,,