চিঠি…….একটি দুই অক্ষরের নাম হলেও এটি অন্তর আত্মার কথা বলে। যেমনটি স্পন্দন ছাড়া হৃদয় অর্থহীন।
যার প্রত্যেক শব্দ এবং লাইনে মিশে থাকে আবেগ, অনুভূতির ছোঁয়া। চিঠি মানে বিশ্বজোড়া ভালোবাসা অনুভূতির এক গহীন অন্ধকারের বুকে ছোট ধ্রুব তারকা।
চিঠি মানে রানারের অপেক্ষা করা নতুন ভোর। আজকাল আধুনিকতার চাদোরে মোড়া ধরার বুকে জাগ্রত আত্মার থেকে নিদ্রিত আত্মা বহু। চিঠি যে জাগ্রত আত্মার অস্তিত্ব প্রমাণ করে।
এই গল্পের নায়ক আমি নিহিড়ীক…..।সময়টা তখন আমি মাত্র ১৩ ক্লাসে পড়ি। আমর খুব পরিচিত একজন একটি নামের বিশ্লেষণ করে একটি চিঠি লিখতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি আবার এই বিষয়ে খুব পরিচিত মুখ ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।
যাই হোক যার বিষয়ে লিখতে বলা হয়ে ছিলো সে ও আমার শহরের পরিচিতো মুখ ছিলো। তার নামটি একটু পরেই প্রকাশ করছি। তবে তার নামের ৩টি অংশ ছিলো। তাই এই নামের বিশ্লেষণ করতে শুরু করলাম চিরকুটের অধ্যায়…..।
১ম অংশের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছিলাম তুমি খুব হিংসুটে কারণ নিজের প্রিয় বস্তুুটি আলাদা করে রাখো সবার থেকে। যেনেো কেউ যদি তার কোনো ক্ষতি করতে চায় তাহলে তুমি রুদ্রমুর্তি ধারন করো।
তবে এটা অনেক সময় তোমার বুকে ক্ষতের সৃষ্টি করে।
২য় অংশের বিশ্লেষণে বলেছিলাম তুমি সপ্ত ঝর্না তোমার নয়ন গড়িয়ে সহস্র লবনাক্ত অশ্রু ঝরে পরলেও তুমি ক্লান্ত হয়ে ওঠো না এ যেন ঝকঝকে দিগন্তের মাঝে একখানা মেঘের ভেলা।
৩য় অংশ হিসেবে লিখেছিলাম তুমি ছায়াময়ী মানবী। কারণ হাজারো অভিযোগ, অভিমান, কষ্টের আঘাত নিয়ে হাসি মুখে বয়ে চলো স্রোতধারা নদীর ন্যায় উদ্দাম বেগে। এ এক গল্পের
পাকা অভিনেতা রস্যময় মানবী। সবমিলিয়ে মধ্য রাতের শহরের শেষ মাথায় কোন একটা ল্যাম্পপোস্ট। যে শুধু নিজে থেকে জ্বলে যাচ্ছে পথিকের অপেক্ষায়।
চিঠির শেষ দিকে তাকে নিয়ে লিখেছিলাম, তুমি এক য়াপ(চামড়ার তৈরি মলাট) এ থাকা অপ্রকাশিত গ্রন্থ।
তবে এই চিঠি যে আমার জন্য এক সময় একটি ঝড়ের ন্যায় উদ্দাম বেগে আঘাত হয়ে বয়ে যাবে কখনো ভাবতে পরিনি।,,,,,,,
আমার সাথে অনুরোধকারীর শর্ত ছিলো আমি কখনো প্রকাশ না করি চিঠির প্রাপক কে,,,,চিঠিটি আমার লেখা…..। যেহেতু আমি চিঠির প্রাপক কে ভালো ভাবে চিনি তাই এই বিষয়ে আমাকে শর্তজুড়ে দেওয়া হয়েছিলো।
কিন্তু আমি কখনো কল্পনা করতে পরিনি চিঠির কথা গুলো আমার জন্য কাল হয়ে দাড়াতে যাচ্ছে,,,,,,। আসুন এবার পরিচিত হই এই গল্পের ৩ চরিত্রের সঙ্গে, চিঠির প্রাপক ছিলো একটি মেয়ে, আমি তাকে অনেক আগে থেকে চিনতাম। তাই তাকে নিয়ে লিখতে আমার কোন অসুবিধা হয় নি। তাহার বর্ননায় মেধা ও অনুভূতির সর্বশক্তি প্রয়োগ করলাম,
এই তিন অংশ বিশ্লেষণে আমার এই রম্য রচনার চিরকুট।
আমি আগেই বলেছিলাম চিঠির অক্ষর লাইনে লেখকের মুখ ভেসে ওঠে। এখানেও তাই একই ঘটনার পুনরাবৃতি ঘটলো কোন এক সুত্র সে জানতে পেরেছিলো চিঠির লেখক ও কথক আমি। তারপর সে আমার হাত।
২য় পর্ব আসছে………..