লালমোহনে চড়ুই পাখির কিচির মিচির শব্দে মুখর মধ্যবাজার এলাকা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

চড়ুই পাখি। পাখিটি আগে গ্রামের প্রায় সব বাড়ীতে দেখা যেত। তখন গ্রামে ছন/নাড়ার টিনের ঘর ছিল। সেই ঘরের কোনায় বাসা বাধত চড়ুই পাখি। কালের বিবর্তনে পাখিটি এখন বিলুপ্তির পথে। হারিয়ে যেতে বসেছে এই ছোট্র পাখিটি।

ভোলার লালমোহন পৌরশহরের সদর রোডে মোল্লা জামে মসজিদ। মসজিদের দক্ষিণ পাশে বাউন্ডিরা করা কবরখানার ভিতরে রয়েছে একটি কাঠাল গাছ। এই কাঁঠাল গাছকে নিরাপদ আশ্রয়স্থান বানিয়েছে শ’ শ’ চড়ুই পাখি। গত দেড় মাস ধরে গাছটিতে প্রতিদিন আসরের নামাজের পর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মিলিত হচ্ছে চড়ুইয়ের দল। কোথা থেকে এত চড়ুই পাখি আসছে কেউ তা বলতে পারে না। গাছের পাতা আর পাখি মনে সমানে সমান।

চমৎকার কিচির মিচির শব্দ। মাঝে মধ্যে পাতার আড়ালেই উড়ে এক ডাল থেকে আরেক ডালে যাচ্ছে। বাহির থেকে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। শুধু শব্দ শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে তারা আনন্দ করছে আবার মনে হচ্ছে তাদের মিটিং চলছে। প্রতিদিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত চলে এই কিচির মিচির শব্দ। মাগরিব থেকে শব্দ বন্ধ। ফজরের পর চলে যায় পাখিগুলো। সারাদিন আর আসে না। আসরের পর আবার গাছে চলে আসে পাখিগুলো।

বিজ্ঞাপন

মোল্লা জামে মসজিদের খাদেম মো. হানিফ বলেন, গত দেড়মাস হলো চড়–ই পাখিগুলো আসরের পর ঝাঁকে ঝাঁকে এখানে আসছে। পাখিগুলোর কিচির মিচির শব্দ শুনতে ভালোই লাগে। মসজিদের দোতালায় বসে পাখির শব্দগুলো ষ্পষ্ট শুনা যায়। ভালোই লাগে শব্দগুলো। চড়ুই পাখি এখন তেমন একটা দেখা যায় না। কোথা থেকে এতগুলো পাখি প্রতিদিন এখানে আসছে তা আমি বলতে পারছি না।

গাছের পাশেই আল মদিনা পাঞ্জাবী টেইলার্স দোকানের মো. মিরাজ বলেন, চড়ুই পাখির কিচির মিচির শব্দে এই এলাকায় মুখরিত হচ্ছে প্রতিদিন। অনেক মানুষ এই শব্দ শুনতে গাছের নিচে আসছে। কিন্তু পাখিগুলো কেউ দেখতে পায় না শুধু শব্দ শুনতে পায়। বাজারের মধ্যে চারিদিকে মানুষের আনাগোনা এবং রাতে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত থাকে এই এলাকা। তবুও পাখিগুলো কোথাও না গিয়ে এখানেই রাতে থাকছে। দোকানে বসে পাখির কিচির মিচির শব্দ শুনতে খুব ভালো লাগে।

পাশে টেইলারিং এর কাজ করছে মো. ইউসুফ। তিনি জানান প্রতিদিন আসরের পর চড়ুই পাখিগুলো এই দুটি গাছে একত্রে আসে। এসেই কিচির মিচির শব্দ শুরু করে। এত ছোট পাখি গাছে দেখা যায় না। তবে চমৎকার শব্দে এই এলাকাকে মুখরিত করে তোলে। তাদের কিচির মিচির শব্দ আর লাফালাফি পাতার শব্দ বাড়তি আনন্দ পায় এই এলাকার সবাই।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন নেচার কনজারভেশন কমিটি (এনসিসি) ভোলার সমন্বয়কারী মো. জসিম জনি বলেন, বর্তমান সময়ে পাখিদের অভয়ারণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। পাখিরা এখন কোথায়ও নিরাপদ আবাসন গড়তে পারছে না। বৃক্ষ নিধন ও বসতবাড়ি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাখিরা এখন নতুন আশ্রয় খুঁজছে। চড়ুই এমন এক পাখি যারা সব সময় মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। কারণ মানুষের উচ্ছিষ্ট খায় চড়–ই। তাই মানুষের বন্ধু চড়ুই পাখির প্রতি সকলের যত্নশীল হওয়া উচিত।

শীর্ষ সংবাদ:
নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএম‌পি ক‌মিশনার আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কৃষক সমাবেশ মেক্সিকোয় গির্জার ছাদ ধসে নিহত ৭, ধ্বংসস্তূপে আটকা ৩০ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ‘আইনে সুযোগ আছে’ সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী রাকিব গ্রেপ্তার জবি থেকে ট্রেজারার নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি শিক্ষক সমিতির ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা গোমস্তাপুরে মহানন্দা নদীতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে : সিইসি গাজীপুরে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রকৌশলীর অপসারণ চেয়ে বরিশালে ঠিকাদারদের মানববন্ধন সিলেটের পালপুরে ৩ মাসের শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সাংবাদিক নাদিম হত্যার ৪ আসামীর রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০ গোয়ালন্দে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিলেন ইউএনও লালমোহনের দেবীরচরে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা জীবন যুদ্ধে বাসে বাসে বাদাম বিক্রি করছে বাবাহারা ৫ বছরের আলামিন