রাবিতে শিক্ষিকার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ছাত্রের বহিষ্কার দাবি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on pinterest
Share on print

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষিকার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আটক করে বিভাগের সভাপতির কক্ষে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগ তাকে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেন। বুধবার (২৯ জুন) বেলা ১১টায় বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকার নাম অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দীকা। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আশিক উল্লাহ। তিনি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। এ রিপোর্ট লেখার সময় (দুপুর দেড়টা) ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আইন বিভাগ ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, বুধবার ৪র্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালীন ইমপ্রুভমেন্টের কথা বলে ক্লাসে প্রবেশ করেন মাস্টর্সের শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ। কিন্তু তার কোন ইমপ্রুভমেন্ট ছিল না। ক্লাসের শেষের দিকে সে ওই শিক্ষিকাকে বিব্রত করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি ক্লাস থেকে বের হতে গেলে আশিক উল্লাহ দরজা লাগিয়ে ম্যামকে মারার জন্য উদ্ধত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ক্লাস রুমে আটকে রেখে ম্যামকে নিরাপদে উদ্ধার করেন।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি আশিক উল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। প্রকাশ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষিকার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদি হয়ে মামলা এবং অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

এ বিষয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, এর আগেও আশিক উল্লাহর নামে শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগ আছে। সে ক্লাসরুমে মেয়েদের সাথেও অশালীন মন্তব্য করে। আজ সে বিভাগের সবচেয়ে বয়োঃজ্যেষ্ঠ শিক্ষকের সাথেও বেয়াদবি করেছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা তাকে বিশ^বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দীকা বলেন, আমি চতুর্থ বর্ষের ক্লাস শেষ করে বের হতে গেলেই সে আমার পথ অবরোধ করে। ডিপার্টমেন্টের আভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি তাকে চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলতে বলি। কিন্তু সে তা না শুনেই আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করে বলেও অভিযোগ করেন এই অধ্যাপক।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সেই কমিটির প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন চাইব। সেই সঙ্গে সে যেন পরীক্ষা দিতে না পারে সে ব্যবস্থাও করব আমরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

শীর্ষ সংবাদ:
তানোরে অবৈধ মটরে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবেনা: অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ আটক কলাপাড়ায় বিস্তৃত মাঠ জুড়ে সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ পাবনার ঈশ্বরদীতে নদীতে ডুবে শ্রমিকের মৃত্যু যশোরে বিএনপির অবস্থান ধর্মঘট জাতির পিতা ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন: এমপি বাবু এ সরকারের আমলে সাংবাদিকরাও নিরাপদে নেই: মোস্তাক মিয়া মাদারীপুরে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামীর বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট সরকারকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে : ওবায়দুল কাদের শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী শিশুদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রিক্সা করে বান্ধবীকে নিয়ে বেড়ানোর সময় কুমিল্লায় ভুয়া পুলিশ আটক কাশিমপুর থেকে ফের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হচ্ছে শামসুজ্জামানকে মেঘনা নদীতে শিল্প–কারখানার বর্জ্যে, মরে ভেসে উঠছে মাছ অবশেষ ট্রেনের টিকিটে সহযাত্রীর নাম বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিদ্যুৎ খাতে বাড়ছে ডলার সংকট রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন পরিণীতি চোপড়া! শেষ হল ‘জওয়ান’র শ্যুটিং, কবে মুক্তি পাচ্ছে ছবি? যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত থেকে ৮ লাশ উদ্ধার আকিজ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, সপ্তাহে ২ দিন ছুটি